*/

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ আসলে কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সমূহ তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। প্রিয় পাঠক, একজন ডায়াবেটিস রোগীকে, কিভাবে খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, এবং কোন কোন সময় খাওয়া জরুরি তা নিয়ে আজকের আলোচনা। মনোযোগ সহকারে পড়ুন আপনার অনেক কাজে আসতে পারে।ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণযদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে অবশ্যই আপনার খেয়াল রাখা উচিত যে আপনি কি খাচ্ছেন। কিন্তু বেশি মাত্রায় যদি খাবার বাছ বিচার করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বা আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে। বিশেষ ডঃ গেরাল্ড বার্নস্টেইন বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের পুষ্টি পূরণের ক্ষেত্রে, লক্ষ্য হওয়া উচিত সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এমন খাবার খাওয়া।

আরো পড়ুন : ওজন কমাতে সোনা পাতা গুড়া

ভূমিকা

বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ কেমন হওয়া উচিত তা জানাটা খুবই জরুরী। কারণ ডায়াবেটিস হচ্ছে বহুমূত্র রোগ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ ১

আপনার যদি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাহলে অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে বাদ দিন পাঁচেকের মধ্যে একটু করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্যাভাস পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। প্রয়োজনের শক্তির যোগান এবং শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগান দেয় এমন খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে।

বয়স, উচ্চতা, শারীরিক ক্ষমতা, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয় সমূহ বিবেচনা করে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ তৈরি করা হয়ে থাকে। ডাক্তাররা এবং বিশেষজ্ঞরা এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে এ তালিকা প্রকাশ করে থাকেন। তবে আমি কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এগুলো সবাই মেনে চলতে পারবেন।


খাবারে বৈচিত্র আনা: প্রতিদিন একই রকম খাবার না খেয়ে, বিভিন্ন রকমের ফলমূল, সবজি, লাল শাক সবুজ শাক সাথে কিছু শ্বেতসার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া চালের ভাত অবশ্যই লালচাল এবং লাল আটার রুটি খাবেন।

সময় মত খাবার খাওয়া: প্রতিদিন সকালের খাবার সময় মত খাওয়া, এবং দুপুর ও রাতের খাবার ঠিক সময় মত খেতে হবে। একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোন বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে।

ফলমূল এবং শাকসবজি:স্বাস্থ্যকর এবং সুষম ডায়েট করার জন্য পাঁচটি বা পাঁচ রকমের খাবার প্রয়োজন আসুন দেখে নেয়া যাক।
  • ফলমূল ও শাকসবজি
  • শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার যেমন, লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি সাথে পাউরুটিও খেতে পারেন।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, ডিম, দুধ, মাছ -মাংস, বাদাম ইত্যাদি।
  • দুগ্ধজাত খাবার-দই, ঘি, পনির ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ধরনের তেল।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ ২

প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা আলাদা আলাদা হবে। বয়স, ওজন, কাজের ধরন, উচ্চতা, পরিশ্রমের পরিমাণ আর্থিক অবস্থা সহ সবকিছু বিবেচনা করে এ তালিকা তৈরি করা হয়। তবে ডায়াবেটিস হলে যে আপনি কোন ধরনের ফলমূল খেতে পারবেন না বিষয়টা এরকম নয়। কিন্তু খাদ্য বাছায়ের দিকে সতর্ক এবং সুশৃংখল হওয়া উচিত।


শরীরে ডাইবেটিস ধরা পড়লে প্রথমে যা করা উচিত তা হলো, চিনিযুক্ত যে কোন ধরনের খাবার বর্জন করা। এমন অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেখানে চিনি বা শর্করা রয়েছে, সেক্ষেত্রে চিনে বাদ দিলে কোন ক্ষতি হয় না।
  • প্রতিদিন তাজা ফলমূল খাবেন।
  • সামুদ্রিক মাছের তেল এবং বাদাম প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • টক ফল প্রচুর পরিমাণে খেতে পারবেন তবে একবারে বেশি না খেয়ে, সারা দিনে পাঁচ বা ছয় বারে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • দুবার খাবারের মাঝে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধান রাখবেন এবং যখন তখন খাওয়া পরিহার করবেন।
  • মিষ্টি খাবারের বদলে টক দই এবং টক জাতীয় ফল খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ ৩

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কোন ফল গুলো খাওয়া বেশি ভালো এটা জানা খুবই জরুরী। কিছু ফল উল্লেখ করে দেয়া হলো এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • আপেল সবুজ হলে ভালো হয়
  • আমলকি
  • কালোজাম
  • জাম্বুরা
  • আমড়া
উপরে যে ফলগুলোর কথা লিখা হলো, এসব ফলে ক্যালরি খুব সামান্য এবং ফাইবার যুক্ত হওয়ায় এগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও বারটি বিশেষ ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী যেমন,
  • বেরি
  • আপেল
  • নাশপাতি
  • সাইট্রাস
  • চেরি
  • পীচ
  • বরই
  • কিউই
  • আঙ্গুর
  • তরমুজ
  • এপ্রিকট
  • টক জাতীয় যেকোনো ফল
  • মাল্টা
  • কমলা ইত্যাদি।

এ সমস্ত ফল সমূহে ভিটামিন সি দ্রবণীয় ফাইবার গ্লাইসেমিক ইত্যাদি পদার্থ রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। যেমন চেরিতে রয়েছে যৌগ যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

তরমুজ রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি বা চিনি, এই চিনে থাকা সত্ত্বেও তরমুজের লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং এটি পরিমিতভাবে উপভোগ করা যায়।

এছাড়াও একজন ডায়াবেটিস রোগী, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। কারণ এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন রয়েছে যা গাইসেমিক বৃদ্ধিতে সহায়ক। একজন ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে ফাইবার এবং ভিটামিন এবং গ্লাইসেমিক খুবই দরকারি উপাদান।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ ৪

ফলমূল ও শাক সবজি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। আপনার শরীরকে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা, স্ট্রোক ও কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত রাখে এই সবুজ শাকসবজি। দিনে অন্তত ৫ বারে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

হতে পারে এক ফালি জাম্বুরা, সাথে একটু টক দই। খিচুড়ি, রান্নায় গাজর মটরশুঁটি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। কম শর্করা শাক সবজির উৎস হিসেবে পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাশরুম, শসা, ব্রকলি ইত্যাদি সহ লেটুস পাতাও খেতে পারেন।


স্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার: এ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে শুরুতেই আলু, ভাত, রুটি, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি। এ ধরনের সব খাবারেই শর্করা থাকে, যেগুলো একজন ডায়াবেটিস রোগীর শরীরের ভেতরে ভেঙে গ্লোকোজ এ পরিণত করে। কিন্তু কিছু শ্বেতসার জাতীয় খাবার দ্রুতগতিতে গ্লোকোজ এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়, যার ফলে অনেক সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এসব খাবার পরিমাপ মত খাবেন, একসাথে অতিরিক্ত বেশি খাবেন না, টক মিষ্টি জাতীয় ফল যদি হয় তাহলে একটি ফলের বা একটি স্বাভাবিক আমের সাইজের অর্ধেক আম খাবেন।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: একজন ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। আর এ প্রোটিন থাকে মাছমাংশে, তবে খাদ্য তালিকা থেকে লাল ধরনের মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত করা মাংস। তাছাড়া সসেজ ইত্যাদি ধরনের খাবার খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের বিশেষ উপকারিতা হলো, এগুলো আপনার শরীরের পেশিকে সুস্থ রাখে এবং মাছের তেল আপনার হার্ট কেউ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বলে রাখা ভালো মাছের তেল কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী।

দুধ জাতীয় খাবার: দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার যেমন পনির, দই, ঘি এ সমস্ত খাবারে চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে এই দুধ জাতীয় খাবারের কোন বিকল্প নেই। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, যুক্ত খাবার গুলো বেছে নেওয়াটা জরুরী, কারণ এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

দুধ জাতীয় খাবার হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। যার কোন তুলনা হয় না।
এছাড়াও বেশি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। যেসব খাবার শরীরে কাজ করার পদ্ধতি একই রকম, সে ধরনের একটি খাদ্যদ্রব্য বদল করে অন্যটির পরিমাণ ঠিক রেখে খাওয়া যায়।

এই হিসেবে খাবারকে পাঁচ থেকে সাত ভাগে ভাগ করা যেতে পারে শুধুমাত্র ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। এর মধ্যে একটি পরিবর্তে সমতুল্য আরেকটি খাবার বেছে নিলে খাদ্য মানের তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। বলা যায়, যদি সকালের নাস্তাই ৯০ গ্রাম আটার রুটি, অথবা ২.৫ টা রুটি থাকে তবে আপনি শস্য জাতীয় অন্য খাদ্য তালিকা তিন টুকরা পাউরুটি, ৫ কাপ মুড়ি, দুইটি রুটি বেছে নিতে পারেন।

এভাবে যদি বিনিময় খাদ্য তালিকা ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে খাবারের বৈচিত্র্য আসবে এবং নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস। মনে রাখবেন সময় মত খাবার এবং পরিমাণ মতো খাওয়ায় হলো ডায়াবেটিস রোগের মূল এবং প্রধান চিকিৎসা।


চেষ্টা করবেন, সকালের নাস্তা করার টাইম আটটা থেকে নয়টার মধ্যে। এবং ছোট রুটি তিনটি করে খাবেন। ডিম একটি খাবেন, শাক-সবজি ইচ্ছা মতো খেতে পারবেন। লাল শাক, পালং শাক, সবুজ শাক, সজনে শাক, কলমি শাক, ডাটা শাক, লাউ শাক, কুমড়ো শাক, কুমড়া, লাউ, সজনে, কাঁচা মরিচ, কাঁচা কলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি কাঁচা পেঁপে ইত্যাদি।

তেল জাতীয় খাবার: অলিভ অয়েল দিয়ে সবজি বা সালাদ খেতে পারেন। টোস্ট বিস্কুট এর সাথে মাখনের পরিবর্তে বাদামের তৈরি বাটার খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভেজিটেবল ওয়েল খেতে পারেন। যে সমস্ত মাছে তেল রয়েছে সে সমস্ত মাছ খেতে পারেন তবে মাত্রার বেশি নয়।

এতক্ষণ আমরা জানলাম ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের ধরন, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকাও রয়েছে, চলুন তাহলে জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীরা কোন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি কি খাচ্ছেন। এটা জেনে রাখা খুবই জরুরী। কিছু খাবার উল্লেখ করে দেয়া হলো এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

সাদা চালের ভাত:সাদা চালের ভাতে ডায়াবেটিস বৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাদা চালের ভাত খেলে প্রতিদিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা ১১.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। তাই লাল চালের ভাত খাওয়াই ভালো।

ব্লেন্ড করা কফি:বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কফি চা এগুলা খাওয়া যায় কিন্তু চিনি ছাড়া। তবে ক্রিম এবং বেশি পরিমাণে চিনি দিয়ে চা কফি খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বাস্থ্যঝকে মধ্যে পড়তে পারেন হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

ফলের মধ্যে কলা এবং তরমুজ: যেকোনো ধরনের ফল মূল্যেই ভিটামিন এবং ফাইবার রয়েছে, কিন্তু কিছু ফলে চিনি থাকে। তার মধ্যে কলা এবং তরমুজ রয়েছে। আর তাই কলা এবং তরমুজ অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, ভুল করেও বেশি মাত্রায় খাবেন না।

ফাস্টফুড খাবার: ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বা চায়নিজ খাবার, অনেক বেশি মুখরোচক হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ খাবার রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিস রোগীকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।


ক্রিম বা পেস্ট্রি: মিষ্টি জাতীয় বিস্কুট, ডোনাট, ক্রিমি কেক এসব ধরনের খাবার ডায়াবেটিস রোগীরা সব সময় এড়িয়ে চলবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর এগুলো না খাওয়া খুবই ভালো।

ফলের রস: সকালের নাস্তা ফলের রস স্বাস্থ্যকর হলেও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।কারণ ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনে থাকে।

চকোলেট জাতীয় খাবার: এ জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারে বর্জনীয়। তাই এই বিষয়ে বেশি কিছু বললাম না আপনারা এ ধরনের খাবার খাবেনই না। যদি ডায়াবেটিস থাকে।

আলু দিয়ে তৈরি খাবার: আলো বাংলাদেশের জাতীয় খাবার ধরা যায়, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা আলু জাতীয় খাবার খুব কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ আলু রক্তের সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয় খুব দ্রুত।

চর্বিযুক্ত মাংস:অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীরা হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। আর তাই চর্বিযুক্ত মাংস আপনারা এড়িয়ে চলবেন। কেননা চর্বিযুক্ত মাংস পুষ্টিকর হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। কারণ চর্বিতে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে।

ফলের জুস: ফলের জুস খুব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে চিনে থাকে। আপনারা বাইরে রেস্টোরেন্ট এ না খেয়ে বাসায় তিনি ছাড়া স্মুথি বা ফলের জুস খেতে পারেন।

এছাড়া, বিস্কুট, চিপস, চকলেট, মাখন, আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস বা কোলড্রিংস এ সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। যেকোনো ধরনের কোমল পানীয় ইত্যাদি। কারণ এই খাবারগুলো রক্তে চীনের পরিমাণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি করে দেয়, এবং ডায়াবেটিস রোগী মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এর বিকল্প কম ক্যালরি এবং চিনি কম যুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

মনে রাখবেন ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শরীরে শর্করার পরিমাণ কম রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করে রাখা। এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা গেলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে যদি আপনার একটুও কিছু উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার পরিজন সবার সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। এবং এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url