পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলা
পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলাতে বিস্তারিত জানাতে নিয়ে এসেছি আজকের এই পোস্ট। এছাড়া পাই নেটওয়ার্ক কি বাংলাদেশে বৈধ, এ ব্যাপারেও বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। এক পাই সমান কত ডলার, পায়ের দাম কত হবে, পাই নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ কি এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আজকের এই পোস্টে।পাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে নতুন একটি ক্রিপটো কারেন্সি, বা ডিজিটাল মুদ্রা, অথবা বলতে পারেন ভার্চুয়াল টাকা। বর্তমান সময়ে এই পাই নেটওয়ার্ক টা এখন ফ্রিতে দিচ্ছে। 200 টিরও বেশি দেশ নিয়ে কাজ করছে পাই নেটওয়ার্ক। সমীকরণে দেখা যায় পাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বর্তমানে ৭ থেকে ৮ মিলিয়নেরও বেশি। পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলা তে আসুন জেনে নেই।
ভূমিকা
পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলাতে জানতে হলে, পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সর্ব প্রথমে জানা দরকার পাই নেটওয়ার্ক কি, কিভাবে কাজ করে, পাই নেটওয়ার্ক কি বিটকয়েন কে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে? বা পাই নেটওয়ার্কের দাম কত হবে, পাই নেটওয়ার্কের দাম কি সত্যিই তিন লক্ষ ১৪ হাজার ডলার সম্ভব হবে?
পাই নেটওয়ার্ক কি
Pi Network বা পাই নেটওয়ার্ক এমন একটি ক্রিপ্টো কারেন্সি যা সবার জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এবং সবাই সহজে যেন মাইনিং করতে পারে তার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিটকয়েন মাইন করার জন্য অনেক শক্তিশালী হার্ডওয়ারের প্রয়োজন ছিল বা এখনো দরকার হয়, কিন্তু পাই কয়েন মাইন করার জন্য শুধু হাতের স্মার্ট ফোনেই সম্ভব।
পাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে, সবার জন্য উন্মুক্ত এবং ডিসেন্ট্রালাইজড পিয়ার টু পিয়ার ক্রিপ্টো কারেন্সি। এর উদ্ভাবন হয়েছিল ২০১৯ সালে স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কিছু ছাত্রের মাধ্যমে। অবশ্যই এটা ব্লক চেইন টেকনোলজির উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে এবং পাই কয়েনের নামকরণ করা হয়েছে গণিতের পাই থেকে। পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলাদেশে, যদি এই প্রশ্ন থাকে আপনার মনে তাহলে উত্তর হল ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ নয়।
তবে এই পাই নেটওয়ার্ক মাইন করতে পারবেন, এবং তা কিভাবে পারবেন পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।
পাই নেটওয়ার্ক বা কয়েন কি
পাই নেটওয়ার্ক এর হেড অফ প্রজেক্ট নিকোলাস কোককালিস, এর মতে পাই নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, পাই কয়েন কে সবাই যেন টাকার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এবং এই পাই কয়েন ব্যবহারে যেন কোন জটিলতার সম্মুখীন না হয়। তবে এই পাই কয়েকটি এখনো উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে।
ইতিমধ্যে পাই নেটওয়ার্ক বা পাই কয়েনের মূল্যের পূর্বাভাস বের করার চেষ্টা করছেন অনেক মানুষ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পাই কয়েনের প্রকৃত মূল্য বের করা এখন একেবারে সম্ভব নয়। আসলে পাই কয়েন তাদের মেইন নেট লঞ্চ করতে পারে ২০২৪ সালের জুন জুলাই মাসের দিকে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আমরা এটা জানতে পারি।
তবে পাই নেটওয়ার্ক বা পাই কয়েন আদৌ মানুষকে ধনী করতে পারবে কিনা বা এর থেকে কতটুকু লাভ করা সম্ভব বা এর দাম কত হবে আসলে বলা একেবারে অসম্ভব। কিন্তু হ্যাঁ পাই নেটওয়ার্ক বা কয়েনটা যদি ক্রেপ্টো মার্কেটে লঞ্চ করে তাহলে অবশ্যই এর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে ভ্যালু নির্ণয় করা হবে।
পাই নেটওয়ার্ক কি বাংলাদেশে বৈধ
আমাদের মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে, পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলাতে জানা। আপনারা হয়তো অনেকেই বিটকয়েনের নাম শুনে থাকবেন, বর্তমান সময়ে একটা বিটকয়েনের দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি বা 45 থেকে 47 লক্ষ টাকা। পাই নেটওয়ার্ক বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে দাবি করেন পাই নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট এর হেড নিকোলাস কোককালিস।
অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে, পাই নেটওয়ার্ক কি বাংলাদেশে বৈধ? শুধু পাই নেটওয়ার্কই নয়, বিটকয়েন সহ যত প্রকার ডিজিটাল কারেন্সি, রয়েছে সবকিছুই বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অবৈধ। কারণ বাংলাদেশের গভর্নর সরকারি ব্যাংক বা সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি কে বৈধতা প্রদান করেননি। যার কারণে পাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের বৈধ নয়।
বর্তমান সময় সাপেক্ষ অনুযায়ী পাই নেটওয়ার্ক সহ সকল ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে একেবারে অবৈধ বা নিষিদ্ধ। তবে অনেকে মনে করেন এটা নিষিদ্ধ না এবং বৈধ না মানে নিউট্রাল অবস্থায় রয়েছে।
আরো পড়ুন: উইন্ডোজ ১১ তে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইনস্টল
পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলা
যেহেতু গত পাঁচ বছর যাবত পাই নেটওয়ার্ক তাদের প্রজেক্ট এর উপর কাজ করে যাচ্ছে, অফিশিয়ালি কোন ধরনের অ্যানাউন্সমেন্ট পাই নেটওয়ার্ক থেকে আসেনি কবে নেটওয়ার্কের মেইননেট লঞ্চ করবে। তবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মাঝে মাঝে আপটুডেট নিউজ পাওয়া যায়, 2024 সালে পাই নেটওয়ার্ক তাদের মেইন নেট লঞ্চ করতে পারে বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালের জুন জুলাই মাস নাগাদ পাই নেটওয়ার্ক লঞ্চ করতে পারে তাদের অফিসিয়াল আপডেটের মাধ্যমে জানা গেছে। যদিও এই ক্রিপ্ট কয়েনটি প্রায় পাঁচ বছর যাবত মাইনিং চলছে। যারা এই কয়েনটি মাইনিং করেছে তারা এর ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। যেহেতু বিটকয়েন শুরুতে শূন্য ডলার ছিল কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় 62 লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি টাকার সমান।
তাই অনেকেই এই পাই নেটওয়ার্ক বা পাই কয়েন এর উপরে একটা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আছে। অনেকে পাই নেটওয়ার্কের মূল্যের ব্যাপারে পূর্বাভাস দেওয়া শুরু করেছে আসলে এগুলোর উপরে কান দেবেন না এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা গুজব। পাই নেটওয়ার্কের যেকোনো আপডেট আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেবো।
লোকাল মার্কেট অর্থাৎ ফেসবুক গ্রুপ অথবা ইউটিউব গ্রুপ অথবা টুইটার গ্রুপ এই সমস্ত লোকাল জায়গাতে পাই নেটওয়ার্ক বা পাই কয়েন কেনাবেচা করা হচ্ছে। আপনারা চাইলে এই সমস্ত গ্রুপে যোগাযোগ করে আপনার পাই কয়েন বিক্রি করতে পারেন। তবে আমি মনে করি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখানে প্রতারক চক্ররা প্রতারণা চালানোর চেষ্টা করে থাকে।
আর তাই চেষ্টা করবেন আপনার মাইন করা কয়েন গুলো ধরে রাখার যতদিন পর্যন্ত পাই নেটওয়ার্কের মেইন নেট লঞ্চ না হয়।
যেহেতু পাই নেটওয়ার্ক মাইন করতে কোন দামি মেশিনের প্রয়োজন হয় না তাই আমি মনে করি আপনি চাইলে আপনার মোবাইলের মাধ্যমে এটা মাইন করতে পারেন। বিটকয়েনের দাম যখন শূন্য ডলার ছিল দশ বছরের ব্যবধানে তা প্রায় ৪০-৫০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়িয়েছে এখন। তাই অনেকে পাই নেটওয়ার্ক এরকম দামের হতে পারে বলে আশাবাদী।
পাই নেটওয়ার্ক নতুন আপডেট
পাই নেটওয়ার্কের বহুল প্রতীক্ষিত ওপেন মেইননেট লঞ্চের জন্য একটি তারিখ ঘোষণা করে শিরোনাম করেছে। ঘোষণাটি ব্যবহারকারী অধিগ্রহণের একটি পর্যায় থেকে স্থানান্তরিত প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চিহ্নিত করে। এবং এর ব্লকচেইন ইকোসিস্টেম বাস্তবায়িত করার জন্য তাত্ত্বিক কাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
প্রকল্পটি এখন তার প্রযুক্তিগত প্রতিশ্রুতি প্রদান করার মুখোমুখি। যাইহোক, ২৮ জুন লঞ্চের তারিখটি কাছে আসার সাথে সাথে প্রকল্পের প্রস্তুতি এবং পাই কয়েনের বাস্তব চাহিদা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠছে।
এর মেইননেট লঞ্চের আগে, পাই নেটওয়ার্ক একটি পর্যায়ক্রমে লঞ্চ পদ্ধতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেন মেইননেট একটি সীমিত ব্যবহারকারী গোষ্ঠীতে অ্যাক্সেসযোগ্য একটি বন্ধ মেইননেট দিয়ে শুরু হবে।
অধিকন্তু, নিয়ন্ত্রক সম্মতি, বিশেষ করে KYC এবং AML নির্দেশাবলী, পাই নেটওয়ার্কের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বাধা হিসাবে রয়ে গেছে, যেমন এটি অনেক ক্রিপ্টো প্রকল্পের জন্য করে। পাই নেটওয়ার্ক টিমের মেইননেট লঞ্চ যাত্রা,বাজার গ্রহণযোগ্যতা এবং নিয়ন্ত্রক সম্মতির স্বাভাবিক চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ।
অন্য খবরে, একটি Twitter X অ্যাকাউন্ট দাবি করেছে যে Pi নেটওয়ার্কের সাথে অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে যে কর্তৃপক্ষ একটি ট্রেডমার্কের জন্য Pi নেটওয়ার্কের আবেদন গ্রহণ করেছে। পোস্টে বলা হয়েছে যে আপডেটটি কোনোভাবে ওপেন মেইননেট লঞ্চে সাহায্য করবে।
পাই নেটওয়ার্ক কিভাবে মাইন করতে হয়
পাই নেটওয়ার্ক অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে মাইনিং করা যায়।বর্তমান সময়ে পাই নেটওয়ার্কের ব্যাপারে অনেক মানুষই জানে, কারণ পাই নেটওয়ার্ক সর্বপ্রথম মোবাইল মাইনিং নিয়ে এসেছে। অনেকে ভাবতে পারেন মোবাইল দিয়ে মাইন করলে ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, না বিষয়টি মোটেও এরকম নয়। ২৪ ঘন্টা পর পর মাইনিং স্টার্ট করতে হয়, এবং খুবই অল্প এনার্জি খরচ হয় মোবাইল থেকে।
পাই নেটওয়ার্ক অল্প সময়ে খুব জনপ্রিয় হবার বিশেষ একটি কারণ হলো, অনেকে ধারণা করেন পাই নেটওয়ার্কের দাম অনেক বেশি হবে। এবং মাইন করাও খুবই সহজ। ২২০টিরও বেশি দেশ নিয়ে কাজ করছে পাই নেটওয়ার্ক। তাছাড়া কোন কোন দেশে পাই নেটওয়ার্কের টোকেন দিয়ে কেনা বেচাও করছে। যার ফলে পাই নেটওয়ার্ক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পাই নেটওয়ার্ক মাইন্ড করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে Pi Network লিখে সার্চ দিতে হবে তাহলে আপনার কাছে এরকম একটা ছবি চলে আসবে,
এটি একটি গুগল ভেরিফাইড অ্যাপ, এই পাই নেটওয়ার্কটি ডাউনলোড করার পরে আপনাকে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, তারপরে ২৪ ঘন্টা পর পরে মাইনিং স্টার্ট করে দিতে হবে। এখানে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিন রকম মাধ্যম রয়েছে, ফেসবুক, জিমেইল একাউন্ট এবং ফোন নম্বর দিয়ে। যদিও পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে বাংলা, এটা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না।
তবে আপনারা চাইলে এই ক্রিপ্টো কারেন্সি মাইনিং করতে পারেন। কেননা পাই নেটওয়ার্ক বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ২০০ টিরও বেশি দেশের মানুষ মাইনিং করে যাচ্ছে। পাই নেটওয়ার্ক এখনো কোন এক্সচেঞ্জারে লিস্টেড হয়নি। তবে আশা করা যায় ২০২৪ সালের মধ্যে পাই নেটওয়ার্ক বেশ কিছু এক্সচেঞ্জারে লিস্টেড হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক পাই সমান কত ডলার বা পাই নেটওয়ার্কের দাম কত হবে
বর্তমান সময়ে পাই কয়েনের ভ্যালু শূন্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে পাই কয়েনের লঞ্চ হবার পরে এটি 10 থেকে ৩০ ডলারের মধ্যে এর দাম থাকতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ক্রিপ্টো কারেন্সি বা পাই নেটওয়ার্ক এই সমস্ত ক্রিপ্টো কয়েন এর ভবিষ্যৎ বলা যায় না।
কিন্তু যারা পাই কয়েন মাইন করছে তারা এর ভালো ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই আশাবাদী। যেহেতু বিটকয়েনের দাম ২০০৯ সালে প্রথম যখন শুরু হয়েছিল তখন তার দাম ছিল শূন্য। আর তাই পাই নেটওয়ার্কের মাইনার যারা রয়েছেন বা নিয়মিত এই কয়েনটি মাইন করছেন তারা এই পাই কয়েন এর ওপর খুবই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।
পাই কয়েন বা পাই নেটওয়ার্ক মাইনিং এর সুবিধা
পাই নেটওয়ার্ক মাইনিং এর সুবিধা রয়েছে। বা বলতে পারেন লাভও রয়েছে। কারণ পাই নেটওয়ার্ক মোবাইল দিয়ে মাইন করা যায়। এতে আপনার কোন ব্যয় নেই বললেই চলে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে পাই একটি খুবই সম্ভাবনাময় প্রকল্প। এর আগের বছর অর্থাৎ 2022 সালে এমনকি 2021 সালেও পাই নেটওয়ার্কের মেইননেট লঞ্চ করার কথা ছিল, কিন্তু তা সফল হতে পারেনি।
এবং যতদিন পর্যন্ত কোন exchanger এ বা ক্রিপ্টো কারেন্সি প্ল্যাটফর্মে লিস্টেড না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এখন যারা ধারণা করে পাই নেটওয়ার্কের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছেন বা এর ভ্যালু বের করার চেষ্টা করছেন এটা শুধুমাত্র তাদের একটা অনুমান।
এর সুবিধা হল বিটকয়েন মাইন করার জন্য খুব শক্তিশালী হার্ডওয়ার বা অ্যাসিক মাইনার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পাই নেটওয়ার্ক মাইন করার জন্য শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড ফোন হলেই হবে। আর তাই এর সুবিধা হচ্ছে ভবিষ্যতে কখনো যদি পাই নেটওয়ার্ক লঞ্চ করে তাহলে, মোবাইলের মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু অর্থ আয় করতে সম্ভব হবেন।
তাছাড়া মোবাইলে সামান্য কিছু জায়গার মাধ্যমে এবং প্রত্যেক ২৪ ঘন্টা পর পর মাইনিংটা স্টার্ট করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যদি কিছু অর্থ লাভ করতে পারেন তাতে কোন ক্ষতি আছে কি। যাই হোক এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। তবে বাস্তবতা হচ্ছে পাই নেটওয়ার্ক ভবিষ্যতে কখনো অবশ্যই তাদের মেইন নেট লঞ্চ করবে তখন মানুষকে কিছুটা হল লাভবান করবে।
ভবিষ্যতের বিটকয়েন পাই নেটওয়ার্ক
পাই নেটওয়ার্ক একটি নতুন ক্রিপটো কারেন্সি স্টান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি পি এইচ ডি অর্জনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্ভাবন এই পাই নেটওয়ার্ক। ক্রিপ্টো কারেন্সি বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাই নেটওয়ার্ক। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাই নেটওয়ার্ক মাইনিং কারী ব্যক্তিরা ধনীও হতে পারে।
বর্তমান সময়ে পাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার কারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি ছাড়িয়েছে। বিটকয়েন মাইন করা ছিল খুব কঠিন, অপরদিকে পাই নেটওয়ার্ক মাইন করা হাতের মুঠোয়। যা আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। পাই নেটওয়ার্কের ভবিষ্যতের বিটকয়েন বলার কিছু কারণ রয়েছে, আমি সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
২০০৯ সালে এক বিটকয়েনের দাম ছিল শূন্য টাকা। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম ২০২৪ সালে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা। যেভাবে বিটকয়েন মাইন করা হয়েছিল, পাই নেটওয়ার্ক তার থেকেও বেশি জনবল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পাই নেটওয়ার্ক ৫০ মিলিয়ন তার থেকেও বেশি মানুষ নিয়ে কাজ করছে।
এবং আজকের তারিখ অনুযায়ী একটা বিটকয়েন এর দাম প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ লক্ষ টাকা। ২০০৯ সালে বিটকয়েনের দাম 0 টাকা ছিল। বিগত ১০ বছরের ব্যবধানে তা প্রায় 63 লক্ষ টাকায় পৌঁছে গেছে। আমি মনে করি পাই নেটওয়ার্ক যদি লঞ্চ করে তাহলে, আপনারা আপনাদের সম্পূর্ণ কয়েন গুলো সেল না করে, কিছুটা আপনাদের কাছে রেখে দিতে পারেন ভবিষ্যতে সেল করার জন্য। এতে আপনাদের ভবিষ্যতে অনেক বড় ধরনের লাভ হতে পারে।
বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি, কিন্তু পাই কয়েন বাজারে না আসার আগেই এর জনপ্রিয়তা ও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতেই আছে। যার ফলে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এটা ভবিষ্যতের বিটকয়েন হতে পারে। আপনি যদি পাই নেটওয়ার্কের জনপ্রিয়তা দেখতে চান তাহলে একবার টুইটার ডট কমে ভিজিট করুন।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পাই নেটওয়ার্কের ফলোয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। আপনারা যদি লক্ষ্য করে থাকেন টুইটার ডট কমে পাই নেটওয়ার্কের ফলোয়ার প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ২৪/০৩/২০২৪। এই সমস্ত বিষয় রিসার্চ করার পরে পাই কয়েন বা পাই নেটওয়ার্ক এর দাম ভবিষ্যতে ভালো হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
লেখক এর মন্তব্য
আমি মনে করি পাই নেটওয়ার্ক সহ ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা যতগুলো কয়েন রয়েছে, এদের ভবিষ্যৎ অনুমান করে বলা সঠিক হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ পায়ের নেটওয়ার্কের খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে এটা সত্যি, হতে পারে ভবিষ্যতে বিটকয়েনের থেকেও দামি কিছু বা হতে পারে অনেকটাই কম।
তবে প্রকল্পটি বেশ জনপ্রিয় এবং খুব সম্ভাবনাময়ী বলে আমার বিশ্বাস। এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর খুজে পেয়েছেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url