একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত, প্রিয় পাঠক অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন? আপনি কি জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং করে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায় বা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বর্তমান সময়ে আপনার জন্য হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং একটি খুবই সম্ভাবনাময়ী ক্যারিয়ার। একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা উপার্জন করে বিষয়টা এরকম নয়, কারণ কাজের উপর নির্ভর করে তার প্রতি মাসের উপার্জিত অর্থ, বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করছি আপনার কাজে আসবে।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষই অনলাইন বা ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। আর এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ প্রত্যেক মাসে বেশ ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করছে অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে। একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত, তা সঠিক করে বলা যায় না।
কারণ একজন ফ্রিল্যান্সার, তার কাজের উপর নির্ভর করে সে টাকা উপার্জন করতে পারে। হতে পারে লাখ টাকার কম বা লাখ টাকারও বেশি। আপনি যদি এই অনলাইন সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তবে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, কারণ এখানে
আজকে আমরা তুলে ধরেছি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেও ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারেন। শুধু আপনাকে জানতে হবে কাজ।
আরো পড়ুন : ফেসবুক থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই প্রশ্নটা সবার মনেই থাকে, এবং এ প্রশ্নের উত্তরটা সবার জানারও দরকার। একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কতটা আয় করে এটা নির্ভর করে তার কাজের উপর। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হওয়া জরুরী। যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
স্বাধীনভাবে কাজ করা এবং ব্যতিক্রমধর্মী একটি কাজ করার উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। আর এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেকে বেশ কিছু তরুণ তরুণী বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উদাহরণ রয়েছে যেমন, Neel Naafis, Khalid Farhan, Abdul Kawser, Md. Shahinur ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে আমি যাদের নাম বললাম এরা বাংলাদেশের সবাই নামকরা ফ্রিল্যান্সার। আপনারা চাইলে অনলাইনে দেখে নিতে পারেন, আর হ্যাঁ এরা সবাই মাসে ঘরে লক্ষাধিক টাকার বেশি ইনকাম করে থাকে কেউ কেউ ৫ থেকে ৬ লাখ প্রত্যেক মাসে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় অথবা আমি যাদের নাম বললাম আপনারা ভাবতে পারেন তারা কত টাকা কামাই আসুন একবার জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আমি যার নাম উল্লেখ করেছেন নীল নাফিস, এই ছেলেটা ভিডিও এডিটিং করে এবং প্রত্যেক মাসে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা শুধুমাত্র অনলাইন থেকে কামাই করে।
খালিদ ফারহান, fiverr এবং upwork থেকে প্রত্যেক মাসে প্রায় তিন চার লাখ টাকার বেশি ইনকাম করে থাকে। এবং তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইউটিউব, ফেসবুক,টুইটার,ইনসটেগ্রাম এই সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রত্যেক মাসে প্রায় দুই তিন লক্ষ টাকা তো আসেই। তো প্রিয় পাঠক আশা করছি বুঝতে পারছেন একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা কামাই করে।
আব্দুল কাউসার, ইনি একজন পেশাদার ডিজিটাল মার্কেটার। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সিলেবাসের কোর্স ইনি পরিচালনা করে থাকেন। বলা যায় বাংলাদেশের সবথেকে বড় ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি হচ্ছে এই আব্দুল কাওসার ভাইয়ার। আর ওনার কোম্পানির নাম অর্ডিনারি আইটি। যা রাজশাহীতে অবস্থিত। আব্দুল কাওসার ডিজিটাল মার্কেটিং করে
প্রত্যেক মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। ওনাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটিতে ভিজিট করলে আপনারা দেখতে পাবেন।
মোহাম্মদ শাহিনুর, ছেলেবেলায় ওনার পেশা ছিল কৃষি কাজ করা। কম্পিউটার শেখার ঝোঁক থেকেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসেন। এবং বর্তমানে উনার মাসিক ইনকাম দেড় লক্ষ টাকারও বেশি। তাছাড়া এই ফ্রিল্যান্সার youtube চ্যানেল পরিচালনা করে থাকেন, যেখান থেকে গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা তো ইনকাম করেই।
এতক্ষণ আপনাদের যাদের সাথে পরিচয় করালাম বা যাদের কথা বললাম, উনারা সবাই পেশাদার এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার। যার ফলে তারা মাসে লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকে। আপনাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম যে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রকৃতপক্ষে কত টাকা ইনকাম করে থাকে। তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করছি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য বেশ কাজে আসবে।
ব্লগিং করে আয় করার উপায়
ব্লগিং করে আয় করা বিষয়টি অনেক পুরনো হলেও এখান থেকে প্রত্যেক মাসে লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। ধরুন আপনি কোন বিষয়ে জানেন সে বিষয়টা আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস অর্থাৎ অনলাইনে প্রকাশ করে বা বাংলাতে লেখালেখি করে প্রকাশ করতে পারেন সেটাই হচ্ছে ব্লগিং করা। যদি আপনার লেখালেখি ভালো লাগে তবে এই সেক্টর টি বেছে নিতে পারেন।
আর লেখালেখি ফ্রিল্যান্সিং জব করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা। বাংলাদেশে বর্তমানে সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স প্রদান করে অর্ডিনারি আইটি। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনিও মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিস্তারিত থাকছে উপরের লিংকে।
এভাবে লেখালেখি করেও ব্লগ পোস্টে ব্লগার একাউন্ট খোলার মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। একজন ফ্রিল্যান্সার কখনোই নির্দিষ্ট বেতনে কাজ করে না।
আরো পড়ুন: পাই নেটওয়ার্ক কবে লঞ্চ করবে
অর্থাৎ আপনি এই মুহূর্তে আমার পোস্টটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ, আর এই ব্লগের মাধ্যমেও ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব।যদি আপনার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে আপনার বাইরের জ্ঞান বেশি থাকে বা জ্ঞানপিপাসু হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনি এই ব্লগিং সেক্টরটি বেছে নিতে পারেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বলা যেতে পারে হাজার হাজার রকমের রয়েছে, তবে বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি ডিমান্ড করে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- ওয়েবসাইট ডিজাইন।
- ভিডিও এডিটিং।
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট।
- অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট।
- কন্টেন্ট রাইটিং।
- ডাটা এন্ট্রি।
- ব্লগিং।
- লোগো ডিজাইন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং।
ইত্যাদি বিষয় সমূহের যেকোনো একটির ওপর যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনিও পারবেন প্রতিমাসে লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।অনেকেই রয়েছে যারা ফেসবুকে বিনোদনমূলক ভিডিও বা নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য এবং
দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ফেসবুকের মাধ্যমে দেখিয়ে মাসে লক্ষ টাকারও বেশি আয় করে থাকে। আর এ কারণেই একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত তার নির্ধারণ বা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: গ্রাফিক্স ডিজাইন বা লোগো ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ এই কাজের অনেক ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি একজন দক্ষ লোগো ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সেক্টর থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য তিন থেকে ছয় মাসের একটি কোর্স করে নিতে পারেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সিং জবের মধ্যে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং কাজটিও খুব জনপ্রিয়। আমরা বিভিন্ন ব্রাউজার থেকে বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইটে ভিজিট করে থাকি, যেমন facebook.com এই ফেসবুক ডটকম একটি ওয়েবসাইট। আর এই ওয়েবসাইটের যেই ইন্টারফেস টা আমরা দেখতে পাই সেটা হল ফেসবুকের ডিজাইন।
আরো পড়ুন: কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক
ভিডিও এডিটিং: বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং কাজটি খুবই জনপ্রিয় এবং খুবই ডিমান্ডেবল একটি কাজ। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন থেকে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ শীর্ষ চাহিদার একটি কাজ। বর্তমান সময়ে দক্ষ ওয়েবসাইট ডেভলপারদের খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডেভেলপ করে মাসে বেশ ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। যারা সফটওয়্যার ডেভলপার রয়েছে আপনি চাইলে ইউটিউবে তাদের সম্পর্কে দেখে নিতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং: বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর জন্য বা এড দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইট করার প্রয়োজন হয়। তো আপনি যদি লেখালেখির উপর এক্সপার্ট বা দক্ষ হন তাহলে এই কন্টেন্ট রাইটিং এ জবটি করতে পারেন।এই সেক্টর একটা থেকে মোটামুটি বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি: ডাটা এন্ট্রি বা তথ্য হালনাগাদ, খুব সহজ কাজের মধ্যে একটি। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি বা তথ্য হালনাগাদ এর কাজ জেনে থাকেন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি খুব সহজেই জব পেয়ে যাবেন বা ঘরে বসে এ ডাটা এন্ট্রি কাজ করে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এই ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ফ্রিল্যান্সার মোঃ শাহিনুর দেড় বছরে ১ কোটি প্লাস টাকা ইনকাম করে ফেলেছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং : বর্তমান সময়ের সব থেকে ট্রেন্ডিং এবং গুগল সার্চ রেজাল্টে সব থেকে বেশি খুঁজে পাওয়া তথ্যের মধ্যে একটি। বা গুগলে সার্চ হওয়া সবথেকে বেশি পরিমাণের একটি এই ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনে কেনা বেচা করা। আপনি যে কোন প্রোডাক্ট বা যে কোন জিনিস অনলাইনে সেল করতে পারেন।
আর অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বা কোন কিছু বিক্রি করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। তবে বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে আরো অনেক সময় লেগে যাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত সোশ্যাল মিডিয়া সহ অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচার-প্রচারণা করাকে বোঝায়। এই কাজ করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আপনি একটি ওয়েবসাইট অথবা ওয়েবসাইট যদি কিনতে না পারেন তাহলে একটা ফেসবুক পেজ তৈরি করুন এবং আপনার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট অথবা আপনি যে পণ্য বিক্রি করতে চান, এবং কোন সেবা দিতে চান তাহলে প্রচার-প্রচারণা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
এর মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে একটা ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে। প্রথমত আপনি ঘরে বসে কেনাবেচা করতে পারবেন। দ্বিতীয় ত আপনার ফেসবুক পেজ যদি মনিটাইজ হয়ে যায়, তাহলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার এক্সট্রা একটা ইনকাম থাকবে যেটা প্যাসিভ ইনকাম নামে পরিচিত। বোঝানোর স্বার্থে, ধরুন প্রথমদিকে আপনার ইনকাম হতে পারে 15 থেকে 35 হাজার সর্বোচ্চ ৪০ হাজার প্রত্যেক মাসের টাকা।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং একটি খুব জনপ্রিয় পেশা, কারণ অনেক মানুষ তাদের হাতের মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকার বেশি ইনকাম করে থাকে।আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে, যেমন ধরেন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এই সমস্ত কাজের অনেক ডিমান্ড রয়েছে। আপনি এগুলোর যেকোনো একটিতে যদি পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন মার্কেট ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
অনলাইনে অনেক ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার কাজের ভ্যালু তৈরি করতে পারেন।এর মানে হচ্ছে মনে করুন আপনি বাংলায় লেখাতে এক্সপার্ট, সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে জব করতে পারবেন এবং আপনি ঘন্টায় টাকা নিবেন নাকি কাজ করে টাকা নিবেন তা নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।
বিদেশি বায়ারদের সাথে কাজ করা ঃবেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশি বায়ার তারা আপনাকে ঘন্টায় টাকা দিতে চাইবে। আবার আপনি চাইলে ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং এই সমস্ত বিষয়াদির কাজ শিখে ঘরে বসে একা কাজ করে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দামি মোবাইল বা দামি কম্পিউটার ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হয় না।
পর্যাপ্ত সময় প্রদান ঃ এই সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।যদি আপনার কাছে প্রাথমিক লেভেলের কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে তাহলে সেটা নিয়েই কাজ শুরু করে দিন। এর পরেও অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে, একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত।
আসলে ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয় কত তা নির্দিষ্ট করে বলার অবকাশ নেই। কারণ ফ্রিল্যান্সার মানে মুক্ত পেশা আপনি যেমন কাজ করবেন তেমন আয় করতে পারবেন।
কাজে দক্ষতা বৃদ্ধি করা ঃ এই সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, এর মধ্যে যেকোনো একটিতে পারদর্শী হওয়া বা দক্ষতা অর্জন করা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। অথবা কাজ করতে করতেও আপনার একটা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা চলে আসতে পারে। এবং একের অধিক রকমের কাজ শিখতে পারলে আপনার ইনকাম আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
স্কিল বা দক্ষতা বৃদ্ধি করা ঃ ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে, আপনি লোগো তৈরি করা শিখতে পারেন, ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন, ফটো এডিটিং শিখতে পারেন, টাইপিং জব করতে পারেন, গুগল রিসার্চ, বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইট রিসার্চ এর জব গুলো করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে প্রত্যেক মাসে গড়ে কত টাকা করে আয় করা সম্ভব তা নির্ভর করে কাজের মাত্রা, কাজের গতি, প্রভৃতির ওপর। তবে সাধারণভাবে বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং করে বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে একজন ফ্রিল্যান্সার সাধারণত 30 হাজার থেকে50 হাজার টাকা প্রত্যেক মাসে ইনকাম করতে পারে।
দেখা যায় কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সাররা প্রত্যেক মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করে থাকে। অনেককে দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমে youtube শিখে এবং ইউটিউব থেকে বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রত্যেক মাসে এক হাজার ডলার ও ইনকাম করে ফেলতে পারে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লক্ষ টাকা।
বর্তমান সময়ে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৬ লক্ষ থেকে সাত লক্ষ তরুণ প্রজন্ম সহ মধ্যবয়স্ক মানুষজন এই ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িয়ে আছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা আয় করার কোন সীমারেখা থাকে না, আপনি যেমন কাজ করবেন তেমন আয় করতে পারবেন। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং করে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায় এই কথা সঠিকভাবে বলা যায় না। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয়
আপনার প্রশ্ন যদি হয় একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার মাসে চার থেকে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা নিজেদের এজেন্সি খুলে বহির্বিশের সাথে কাজ করে।যারা একেবারে নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আসে এবং শিখে যায় শুরুতে তাদের ইনকাম অল্প হলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।
তাই একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত তা সঠিক করে বলা যায় না অনেক বেশিও হতে পারে আবার অনেকটা কমও হতে পারে। পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিমাসে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।
হতাশ হওয়া যাবে না ঃ যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে তাদের দেখা যায় শুরুর দিকে এক পয়সাও আয় হয় না এবং হতাশ হয়ে পড়ে, তবে এখানে হতাশ হবার কিছু নেই পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররাও প্রথমদিকে হতাশ হয়েছিল কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি যার ফলে তাদের আয়ের কোন সীমারেখা থাকে না। তবে একটা কথা বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জনের লোয়ার লিমিট আছে কিন্তু কোন আপার লিমিট নাই।
সীমাহীন ইনকামের পথ ঃএই কথার মানে হচ্ছে আপনি কম উপার্জন করার সীমারেখা তৈরি করতে পারবেন কিন্তু বেশি উপার্জন করার কোন সীমারেখা নেই। যেকোনো ধরনের কাজের শুরুতে আই কমই থাকে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। তবে আপনার সময় দেওয়ার ওপর নির্ভর করবে আপনার আয়। অনেকে এমন মানুষ রয়েছেন যারা একসময় বেতনভুক্ত চাকরিরত অবস্থায় ছিল,
কিন্তু তারা এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে চলে এসেছে। বাংলাদেশের অনেক তরুণ তরুণী ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করেছে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে কোন ফ্রিল্যান্সার আপনাকে আসলে কত টাকা ইনকাম হয় তা সঠিকভাবে বলবেনা। তবে ধৈর্য ধরে শিখতে পারলে মাসে এক লক্ষ টাকা আশা করা যায়।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কেমন আয় হয়
বর্তমান সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের দিন বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রায় ছয় লাখ থেকে ১০ লাখ তরুণ তরুণী ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করে থাকে। বয়স খুব অল্প হলেও গায়ে বিখ্যাত শার্ট জিন্স দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি এবং ল্যাপটপ থাকে এই তরুণ তরুণীদের।বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার রা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে।
কাজের উপরে আপনার ইনকাম নির্ভরশীল ঃতবে এর থেকে অল্প বয়সেও কিছু কিশোর রয়েছে যাদেরকে অনেকেই চিনে। নীল নাফিস একজন ভিডিও এডিটর যে কিনা এক মাসে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং করতে শুধু দরকার একটা ল্যাপটপ বা একটা ডেস্কটপ বিদ্যুৎ এবং গতিশীল ইন্টারনেট। যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা যে কোন জায়গায় বসে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারে।
আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া ঃ সফল ফ্রিল্যান্সাররা সব সময় আর্থিকভাবে স্বাধীন। ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সাহায্য করছে। ঠিক তেমনি তারা নিজেরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং আর্থিকভাবে স্বাধীনতা বয়ে নিয়ে আসছে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদের কাছ থেকে জানা গেছে, সারা দেশ জুড়ে প্রায় ছয় লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন।
যাদের সব মিলিয়ে বার্ষিক আই ধরা যায় ১০০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সবথেকে বেশি ফ্রিল্যান্সিং করে ভারত তারপরে দেখা যায় বাংলাদেশের অবস্থান এবং আয়ের দিক থেকে ধরা হয় বাংলাদেশের অবস্থানকে সপ্তম পর্যায়ে। তবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস ঃ আপনার দক্ষতা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
গবেষণা করা শিখুনঃ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজ বেশি মূল্যায়ন করা হচ্ছে সেটির উপর নজরদারি করুন।
বাজার গবেষণা করা শিখুন ঃ কোন ধরনের কাজ সহজ বা আপনি কোনটা ভালো পারেন এ ধরনের কাজ গবেষণা করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
মার্কেটিং করা ঃ আপনি যে কাজ করেন বা আপনার যে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তার মার্কেটিং করা শিখুন অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে আপনার কাজের ধরন, কি কাজ করেন এসব জিনিসের প্রচার-প্রচারণা করুন।
সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখা ঃ আপনার পরিচিত বা যারা অনলাইন মার্কেটপ্লেস সিনিয়র ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ট্রিক্সশেখার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও আপনাকে ক্লাইন্টের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে বা যোগাযোগের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ভালো সময় ব্যবস্থাপনা করতে জানতে হবে, নিজের পরিচয় প্রদানে অনীহা করা যাবে না। বিশেষ করে ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে বেশি।
এছাড়া আপনার নেটওয়ার্কিং ভালো করতে হবে মানে অন্যান্য যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, তাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া অনলাইনে আপনার একটি সব সময় উপস্থিতি তৈরি করে রাখতে হবে।
এভাবে নিয়ম মেনে কাজ করলে, এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আপনার জন্য হতে পারে খুবই সম্ভাবনাময়। নিজস্ব সময় এবং কাজের পরিবেশ আপনি আপনার মন মত বেছে নিতে পারবেন এই সেক্টরে। উন্নয়নের ছোঁয়া এবং প্রযুক্তির বিকাশ এর ফলে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লেখক এর মন্তব্য
আপনি যদি একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাহলে আজ থেকেই উপরোক্ত যে কোন একটি বিষয়ের উপর কাজ শিখতে শুরু করে দিন। কারণ ইন্টারনেট যতদিন থাকবে ততদিন ফ্রিল্যান্সিং এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। আসলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত হয়, তাই যদি অনলাইন থেকে আপনার ইনকাম করার মানসিক ইচ্ছা,
এবং চাহিদা থাকে তাহলে ধৈর্য ধরে কাজ করে যান একসময় পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হয়ে আপনিও হতে পারেন স্বাবলম্বী। তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত তা সঠিক করে বলা যায় না। আশা করছি পূরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url