অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আজকে আমার প্রতিবেদন। অধিকাংশ ছেলে এবং মেয়ে বা পুরুষ এবং মহিলা চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় ভুগে থাকেন, কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদনে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে এবং চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন এই দুই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
অতিরিক্ত চুল পড়া শুধুমাত্র যে বংশগতির প্রভাব বা স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটে থাকে তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মানসিক সমস্যাজনিত কারণেও অতিরিক্ত চুল ঝরে যেতে পারে। যেমন
- দুশ্চিন্তা
- ক্লান্তি
- শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু যাদের এমনিতেই অতিরিক্ত চুল পড়ে যাচ্ছে তারা নিম্নক্ত বিষয়গুলো ফলো করতে পারেন ইনশাআল্লাহ আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিদিন কি পরমিাণ চুল পড়া স্বাভাবাবিক
স্বাভাবিকভাবে
একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টি চুল হারাতে পারে। এই চুল হারানোকে স্বাভাবিক বলা যায়। আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটলজি ব্যাখ্যা করেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বাভাবিক মানুষের এক লক্ষ চুলের ফলিকল থাকে, সংখ্যাটি শুনে কম মনে হলেও এটা খুবই স্বাভাবিক। চুল পড়ে যায় পুনরায় আবার বৃদ্ধি পায়, কিন্তু কিছু ব্যাক্তির চুল অতিরিক্ত পড়ার কারণে আর বৃদ্ধি পায় না।
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। আর তাই অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আজকে আমার এই প্রতিবেদন। পুরোটা পড়তে থাকুন আশা করছি আপনার অনেক বেশি কাজে আসবে।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সমূহ
1.নারকেল তেল: নারকেল তেলের সঠিক মাসাজ আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে বিশেষ কাজে আসতে পারে। কারণ নারকেল তেলে রয়েছে, লরিক অ্যাসিড, যা এক ধরনের একটি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি আপনার চুলের সাফটে প্রবেশ করতে পারে, এবং অতিরিক্ত প্রোটিনের ক্ষতি কমায়। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে নারকেল তেল মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে হলে রাতে শোবার আগে, ভালোভাবে মাসাজ করে নিবেন। এছাড়াও প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় আপনি নারকেল তেল মাথায় মাসাজ করতে পারেন। যার ফলে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
2.অ্যালোভেরা: অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে এলোভেরা কে উপাখ্যান মূলক প্রমাণ হিসেবে ধরা যায়। কেননা এলোভেরা মাথার ত্বককে প্রশমিত করতে পারে এবং চুলকে করে ঝলমলে এবং সিল্কি। এছাড়াও এলোভেরা চুলের ফলিকলগুলো খুলে দিতে সাহায্য করে এবং খুশকি দূর করে। আপনি যদি নিয়মিত চুলে কন্ডিশনার এবং শ্যামপুর পাশাপাশি, এলোভেরা জেল লাগাতে পারেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া আশা করছি অনেক আংশিক কমে যাবে।
3.গরম তেল: গরম তেল হচ্ছে চুল পড়া রোধের একটি ঘরোয়া উপায়। নিয়মিত কুসুম গরম তেল দিয়ে যদি আপনার মাথা মাসাজ করতে পারেন তাহলে মাথার স্কেলপে রক্তচাপ অথবা রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে। আর যদি গরম তেলের সাথে মেথি এবং কালোজিরা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন তাহলে, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে বিশেষ কাজে দিবে।
4.ডিমের মাসাজ: অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করার ক্ষেত্রে,
ডিম ব্যবহার করা যায়। ডিমের অতিরিক্ত প্রোটিন চুল পড়ে যাওয়ার সর্বোত্তম ভালো প্রতিকার হতে পারে। একটি ডিম নিয়ে সেটিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে, ভালোভাবে ফ্যাট করে ৪৫ থেকে ৫৫ মিনিট যদি আপনি মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে আপনার চুল পড়ার অধিকারী খুবই কার্যকর হবে।
চুল পড়া রোধে বিশেষ করণীয়
1 দুগ্ধ জাত খাবার খাওয়া: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, এবং এই ক্যালসিয়াম চুল ঝরে যাওয়ার পরিমাণ রোধ করতে খুবই সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি বায়োটিন খেতে পারেন যা চুল ঘন করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
2 স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
চুলের গঠন ও বৃদ্ধি পুষ্টির উপর নির্ভর করে। পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে চুল মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে। বিশেষ করে চুলের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদানগুলো হলো:
- প্রোটিন: মাছ, ডিম, মাংস, ডাল।
- বায়োটিন (ভিটামিন B7): ডিমের কুসুম, বাদাম, গাজর।
- ভিটামিন C: লেবু, কমলালেবু, আমলকি।
- আয়রন ও জিঙ্ক: পালং শাক, বাদাম, মাংস।
3. চুলের যত্নে তেল ব্যবহার
চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য নিয়মিত চুলের যত্নে তেল ব্যবহার করা জরুরি। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, অ্যালোভেরা তেল, এবং অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং চুল পড়া কমায়।
- ব্যবহার: সপ্তাহে ২-৩ বার চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং চুল মজবুত করবে।
4. অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার এড়ানো
চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার চুলের জন্য ক্ষতিকর। হেয়ার কালার, স্ট্রেটেনিং, রিবন্ডিং বা অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং থেকে চুলের ক্ষতি হতে পারে এবং চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করা উচিত।
5. স্ট্রেস কমানো
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরি।
6. পানি পান করা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীর এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, যা চুলের গোড়াকে মজবুত রাখে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
7. ঘরোয়া চুলের প্যাক
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরোয়া চুলের প্যাক তৈরি করে চুলের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমায়।
- ডিমের প্যাক: ১টি ডিম এবং ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ২০-৩০ মিনিট। এটি চুলের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করবে।
- মেহেদি প্যাক: মেহেদি পাতা বেটে চুলে লাগান। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
8. হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার
চুলে সপ্তাহে ২-৩ বার হালকা এবং প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। রাসায়নিকমুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো। চুলে অযথা ঘষাঘষি বা বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল কমে যেতে পারে।
9. নিয়মিত চুল ট্রিমিং
নিয়মিত চুলের শেষ অংশ ছাঁটা উচিত। এতে চুলের ডগার ফাটা কমে এবং চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
10. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার চুলের গোড়া পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে, যা চুল পড়া কমাতে সহায়ক।
- ব্যবহার: এক অংশ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও দুই অংশ পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া কমাতে এবং চুলকে ঝলমলে করতে সাহায্য করে।
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
1. বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ খাওয়া: আপনার কি অতিরিক্ত চুল পড়ছে? যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে থাকে আপনার, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের বীজ খাওয়া অভ্যাস করেন। যেমন, কাঠবাদাম, চিয়া, আখরোট, তিসির বীজ ইত্যাদি। এই ধরনের বাদাম এবং ভিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং বায়োটিন। যা আপনার চুল পড়া কমায় এবং চুল বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে থাকে।
2. অত্যধিক শ্যাম্পু ব্যবহার বন্ধ করুন: অনেককেই দেখা যায় মাথার ত্বকে নিয়মিত শ্যাম্পু কন্ডিশনার সহ, গরম পানি ও ব্যবহার করে থাকেন। যা করা একদমই উচিত নয়। মাথার ত্বকে সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন, এবং সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
3. নারকেলের দুধ: অনেকে হয়তো শুনে অবাক হচ্ছেন, নারকেল তেলের ব্যবহার শুনেছি নারিকেল দুধের কথা তো শুনিনি। আসলে নারিকেল কুরে নেওয়ার পরে, সেটাকে চিপে তার থেকে নারকেলের দুধ বের হয় এবং সেই দুধটাকে হালকা গরম করে আপনি মাথায় ভালোভাবে মাসাজ করে ঘন্টাখানেক রেখে দিতে পারেন। নারকেলের দুধে কোন রাসায়নিক উপাদান নেই অথবা কোন ক্ষতিকর উপাদানও নেই তাই আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেলের দুধ সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ তো হবেই এবং চুল হবে ঘন কালো অবশ্যই এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন।
অল্প সময়ে চুল পড়া রোধ করার উপায়
1. জবা ফুল: চুল পড়া রোধ করতে জবা ফুল অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। পাঁচ থেকে সাতটি জবা ফুলকে গাছ থেকে ছিঁড়ে নিন, এবং পাঁচ থেকে সাতটি পাতাও নিয়ে নিন। এরপর আধা কাপ তেলের সঙ্গে (অবশ্যই নারকেল তেল), ফুটিয়ে নিন। তেলটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার স্কেলপে খুব সুন্দর ভাবে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন, এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
জবা ফুলে রয়েছে খুশকি এবং শুষ্কতা দূর করার ক্ষমতা। জবা ফুল চুলকে করে তোলে শক্তিশালী এবং ঘন, জবা ফুলকে চুল ঘন এবং চুল পড়া রোধের প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে ধরা হয়।
2. পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজ অথবা পেঁয়াজের রস চুল বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। তাছাড়া পেয়াজের রস রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালনের উন্নতি ঘটাতে পারে। অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যাটি সমাধান করতে পেঁয়াজের রস বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পরিমাণ মতো পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে ছেঁকে সে রস বের করতে হবে। এবং সে রসগুলো গোসল করার 20 থেকে 25 মিনিট আগে মাথায় সুন্দরভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবং অবশ্যই খেয়াল করুন যেন, মাথার স্ক্য়াল্পে লেগে থাকে।
3. গ্রিন টি: গ্রিন টিতে রয়েছে অতিরিক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল পড়া রোধ করতে সক্ষম। এটি করতে হলে প্রথমে আপনি গ্রিন টি তৈরি করে ফেলুন, এবং মাথার ত্বকে দেবার আগে অবশ্যই ঠান্ডা করে নিবেন। মাথার ত্বকে এক ঘণ্টার মতো দিয়ে রাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
4. মেথির ব্যবহার: অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে মেথি ব্যবহার করতে পারেন। কিভাবে ব্যবহার করবেন আসুন জানিয়ে দিচ্ছি। মেথি অথবা মেথির গুঁড়া সারারাত একটি পরিষ্কার পানির পাত্রে দুই চা চামচ মেথির গুঁড়া অথবা গোটা মেথি ভিজিয়ে রাখবেন। আপনার মাথার পরিমাণ অনুযায়ী। সকালে মেথি গুঁড়ার পেস্ট একটা ডিম মিশিয়ে অথবা শুধু মেথির পেস্ট মাথার ত্বকে ভালো মতো লাগিয়ে দিন। আধাঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
5. লেবুর তেল: অতিরিক্ত চুল পড়া, এবং চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন হিসাবে লেবু তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবুতে রয়েছে সিনাপিক এসিড, যা আপনার চুলের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এবং অবশ্যই চুল পড়া রোধ করতেও সক্ষম।
6. আমলা: চুল পড়া রোধ করতে আমলা খুবই কার্যকরী। আমলার পাউডার অথবা আমলার পেস্ট তৈরি করে নিয়মিত মাথার ত্বকের লাগিয়ে রাখুন। ২৫ থেকে ৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখলেই এর কার্যকরী নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।
লেখক এর কিছু কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, উপরে আমি অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার জন্য অনেক কষ্ট করে খুঁজে এবং অনেক বই থেকে পড়ে আপনাদের জন্য আমি আজকের এই প্রতিবেদন সম্পন্ন করতে পেরেছি। কোন যদি ভুল থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং এরকম আরো আর্টিকেল পেতে অথবা প্রতিবেদন দেখতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url