*/

ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়, মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়। প্রিয় পাঠক আজকের এই ব্লগে ঘরে বসে কিভাবে আয় করতে পারবেন, এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। পোস্টটি বড় হয়ে যেতে পারে ধৈর্য ধরে পড়ুন আশা করছি আপনার অনেক কাজে আসবে।
ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত কিছু উপায় রয়েছে। যেমন, ব্লগিং করে আয়, গুগল এডসেন্স থেকে আয়, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় ইত্যাদি। বর্তমানে ইন্টারনেটের উন্নতির ফলে বা আধুনিকতার অগ্রযাত্রায় আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কাজ করার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। আর সে জন্যই ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় এই বিষয় নিয়ে আজকেরে আর্টিকেল।

প্রাথমিক ধারণা

আজকের মূল টপিক হচ্ছে ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় এবং মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়। বর্তমানে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক এই দুনিয়ায় ঘরে বসে আয় করা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আপনিও চাইলে ঘরে বসে লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারেন প্রতি মাসে।

আজকে আমি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় এ ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোকপাত করব। মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করছি আপনার অনেক কাজে আসবে, বা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে সাহায্য করবে আজকের এই আর্টিকেল।

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা

বাইরে না যে ঘরে বসে কাজ করার একটি বিশেষ মাধ্যম বা উপায় হল বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা। আর অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে যে কোন বিষয়ের উপর পারদর্শিকতা দক্ষতা ইত্যাদি। আপনি যদি কম দক্ষ হন সে ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো আমি আলোকপাত করব।


অনলাইন প্লাটফর্মে, কাজ করার জন্য অনেক রকম জায়গা আছে অনেকে চিনেন আবার অনেকে অনেকদিন ধরে কাজ করেও সেই সমস্ত প্লাটফর্মের নামও জানেন না। তো আমি সবথেকে জনপ্রিয় যে ওয়েবসাইট রয়েছে বা মার্কেটপ্লেস রয়েছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।


Fiverr এবংUpwork এই দুইটা মার্কেটপ্লেস বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এর বাইরেও কিন্তু অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এই সমস্ত মার্কেটপ্লেসে কাজ করে, ন্যূনতম ২০ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব একজন মধ্যম পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারের। ঘরে বসে আয় করার সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা।

তাহলে এই মার্কেটপ্লেসে কি কি বিষয়ে কাজ করতে পারবেন নিচে তা আমি উল্লেখ করে দিচ্ছি।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন,
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন,
  • ভিডিও এডিটিং,
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট,
  • কন্টেন্ট রাইটিং,
  • ডাটা এন্ট্রি,
  • ব্লগিং,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং,
  • লোগো ডিজাইন,
  • সফটওয়্যার তৈরি
এই সমস্ত বিষয় নিয়ে, বা এর থেকে আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমি বলতে পারলাম না আমি যতটুকু জানি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। তবে এই সমস্ত কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে এই সমস্ত অনলাইন মার্কেট। ঘরে বসে আয় করার সবথেকে সহজ উপায় হলো ডাটা এন্ট্রি করা। ডাটা এন্ট্রি শিখতে বেশি সময় ও লাগে না।

শুরুতে আমি সহজ কিছু বিষয় তুলে ধরবো, যা আপনারা মোবাইলের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কাজ তুলে ধরার চেষ্টা করব যেগুলা মোবাইল দিয়ে সম্পাদন করা সম্ভব।

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা

ঘরে বসে আয় করার একটি সহজ মাধ্যম হলো ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা। এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ফেসবুক রিলস, ইউটিউবের শর্টস ইত্যাদি দেখেন না। বাড়িতে বসে থেকে বা ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়, এর সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো এটি। বিভিন্ন বড় বড় পডকাস্টের ভিডিও ডাউনলোড করে সেগুলো বিশেষ কিছু জায়গা বিশেষ কথার জায়গা গুলো কেটে কেটে, ইউটিউব শর্টস অথবা ফেসবুক রিলস আকারে আপলোড করা যায়।


ফেসবুক রিলস এবং ইউটিউবের শর্টস থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে বর্তমানে বাংলাদেশী কিছু তরুণ তরুণী। মনে করুন আপনি ক্যামেরার সামনে আসতে লজ্জা পান অথবা খুব একটা ভালো উপস্থাপন করতে পারেন না তারপরও চাচ্ছেন ফেসবুক অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। সেক্ষেত্রে এই শর্ট ভিডিও থেকে ইনকাম করা আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে।

তবে অবশ্যই একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, এই পডকাস্টের ভিডিও গুলো অবশ্যই হালকা করে এডিট করে নিবেন। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ফেসবুক পেজ, এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে। তারপর শিক্ষনীয় সমস্ত ভিডিও গুলো ডাউনলোড করুন আর শর্ট ভিডিও আকারে ফেসবুক এবং ইউটিউবে আপলোড করে টাকা আয় করুন।

আমি উপরে যেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললাম, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি এই কাজগুলো মোবাইলের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারবেন। চলুন ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় এ ব্যাপারে খুব বিস্তারিতভাবে আলোচনা দেখে আসি। এতদিন হয়তো অনেকের ব্লগ পোস্ট করেছেন কিন্তু আপনি কোন ইনকাম করতে পারেননি, কথা দিচ্ছি পড়তে থাকুন আপনার ইনকাম হবেই। ইনশাআল্লাহ।

ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে আয়

ঘরে বসে আয় করার বিশেষ একটি মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। ব্লগিং করার পাশাপাশি, অবশ্যই আপনি লেখালেখি প্র্যাকটিস করে নিবেন। ব্লগিং করা মূলত লেখালেখির কাজ। আপনি হয়তো জানেন, অনেকেই জানেন না ব্লগিং করার জন্য একটি ব্লগার ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়। ব্লগিং করে কিভাবে আয় করবেন নিচে তা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়

ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কিভাবে করবেন, পড়তে থাকুন আশা করছি বুঝতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন হবে একটি ব্লগার ওয়েবসাইটের। আর এই ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্স সংযোগ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিস্তারিত থাকছে এখনকার প্রতিবেদনে।

গুগল এডসেন্স সবার পরিচিত একটি নাম। আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স কানেক্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। আর সেই ওয়েবসাইটে আপনি প্রতিদিন ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি হয়তো ভাবছেন ওয়েবসাইট কিনতে অনেক টাকা লাগে,

না বিষয়টা মোটেও এরকম নয়। দুই হাজার টাকা খরচ করলে আপনি একটা ডোমেইন কিনতে পারবেন। অনেকে হয়তো বোঝেন না ডোমেইন কি চলুন আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি .com এইটা হচ্ছে ডোমেইন। যেকোনো ওয়েবসাইটের শেষে ডটকম এই কথাটার মানেই হচ্ছে ডোমেইন।

আর একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিভাবে, ধরুন আপনি ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ব্লক পোস্ট পাবলিশ করেন, আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটররা আসে আপনার ব্লগ পোস্ট পড়ে। সে ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগ পোস্টে এড শো করবে যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন শো করবে। কোন ব্যক্তি যদি সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তাহলে আপনার ইনকাম হয়ে যাবে।

আশা করছি গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা হয় এ ব্যাপারে পুরো বুঝতে পেরেছেন। এবারে চলুন জেনে নিই, ছেলে এবং মেয়ে বা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘরে বসে আয় করার উপায়। বলে রাখি নিচে যে উপায়গুলো আমি আলোচনা করব, এগুলা ১০০ শতাংশ কার্যকরী উপায় তাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আমি বিশেষ করে ঘরে বসে আয় করার উপায় হেডিং আকারে তুলে ধরেছি, এর কারণ হচ্ছে অধিকাংশ মেয়েরা বর্তমানে কাজ করতে চায়। কিন্তু তারা বাইরে যেতে পারে না। তাছাড়া মেয়ে মানুষদের বাইরে কাজ করাও অনেক বেশি কষ্টের। আর তাই আমি চেষ্টা করেছি  ঘরে বসে আয় করার উপায় খুব ভালোভাবে আলোচনা করতে।

তবে শুধুমাত্র মেয়েরাই যে এই উপায়ে আয় করতে পারবে ব্যাপারটা ঠিক তা না। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই এই উপায়ে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন লক্ষাধিক টাকার বেশি। তবে অবশ্যই আপনাকে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। এবং যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এখনকার সময়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আচ্ছা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে, কোন জায়গাতে আপনি নেই তারপরও সেখানকার কাজ আপনি করে দিতে পারেন। সহজভাবে বলতে গেলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। মহিলা মানুষদের জন্য এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জবের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। যে কোন কোম্পানির সাথে আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন। আর এই কাজ করার মাধ্যমে কিন্তু, পেশাদারভাবে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আয় : ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আয় করার একটা সেরা উপায় হচ্ছে ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে। বিশেষ করে মেয়েরা ফেসবুক ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে আয় করতে পারেন। যেমন, আপনি বিশেষ রান্না বান্না করতে জানেন বিশেষ না হলেও চলবে যদি রান্নাবান্না করেন, এবং মোবাইলে রান্না বান্নার ভিডিও ধারণ করে,

ফেসবুক অথবা ইউটিউবে আপলোড করে অন্যকে রান্না শেখাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর টাকা ইনকাম হবে প্রত্যেক মাসে। আর্টিকেলটা পড়ে হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন ভিডিও মার্কেটিং করার কথা বলছি আমি। বর্তমানে এই ভিডিও মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ড দেখিয়েও মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।

ডাটা এন্ট্রি : অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজের খুব চাহিদা রয়েছে। ডাটা এন্ট্রি কাজটা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের এবং এ কাজ করার জন্য সাধারণ মানের একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলেই হয়। তাই যে সকল মেয়েরা লেখালেখি করতে ভালোবাসেন বা আপনার লেখার উপর দক্ষতা রয়েছে, এবং আপনি যদি চান যে ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন তাহলে কিছুদিন টাইপ করা প্র্যাকটিস করে নিন এবং ডাটা এন্ট্রি জব করুন।

আপনি হয়তো জানেন কিনা ডাটা এন্ট্রি জব করে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যারা মাসে দেড় দুই লক্ষ টাকা করে ইনকাম করে। শুনে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। তবে হ্যাঁ কাজ করতে হয় তবেই সফলতা আসে, বর্তমানে অনেক নারীরা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে। কম্পিউটারে টাইপ করা, এবং দ্রুত গতিতে টাইপ করাতে একটু পারদর্শী হলেই আপনি এই ডাটা এন্ট্রির জব করতে পারেন।

অনলাইনে মার্কেটিং করা : বর্তমান সময়ে নারীরা বিশেষ করে শহরে অনলাইনে মার্কেটিং করেও ঘরে বসে বেশ ভালো পরিমানের অর্থ উপার্জন করে থাকে। অনলাইনে মার্কেটিং করার দুইটা সুবিধা রয়েছে। এক নম্বর সুবিধা হচ্ছে, আপনি ঘরে বসেই আপনার যেকোনো ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এবং দুই নাম্বারটা হচ্ছে পণ্য কেনা বেচা করার জন্য আপনি যে প্ল্যাটফর্ম টা ব্যবহার করছেন সেখান থেকে।

অবাক হচ্ছেন, হবারই কথা। কেননা আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার পেজের রেভেনিউ বাড়বে। আবার যদি ইউটিউব থেকে মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের রেভিনিউ বাড়বে। এর অর্থ দাঁড়াই আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে, একই ক্ষেত্রে ওয়াচটাইম বৃদ্ধি পাবে।

আর ইউটিউব এর ক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার ওয়াচ টাইম রেভিনিউ এগুলা বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে আপনার ভিডিও গুলো মনিটাইজ হতে সুবিধা হবে। এবং যত দ্রুত আপনার চ্যানেল বা আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজ হবে আপনার তত বেশি ইনকাম হবে। সেজন্যই বললাম অনলাইনে মার্কেটিং করলে দুই রকম ভাবে ইনকাম করা যায় বা দুইটা সুবিধা পাওয়া যায়।

ব্লগিং করে আয় : পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী এবং আজীবন মেয়াদের একটি আয়ের উৎস হল ব্লগিং করা। উপরে আমি খুবই অল্প আকারে ব্লগিং করার ব্যাপারে আলোকপাত করেছি। এখানে একটু বিস্তারিত বলার চেষ্টা করছি আশা করছি সাথেই থাকবেন।

ঘরে বসে টাকা আয় করার বিশেষ একটা উপায় ব্লগিং করা। ব্লগিং করতে হলে শুরুতে আপনাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার মানে হচ্ছে এই ধরেন আপনি দৈনিক খবরের কাগজ পড়েন, আপনি নিয়মিত কুরআন এবং হাদিস পড়েন অথবা ম্যাগাজিন পড়েন। পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞান অর্জন হয় আপনি অন্যকে কিছু বোঝাতে পারেন।

আশা করছি আপনি আমার কথা বুঝতে পারছেন। তো ব্লগিং করাটা হচ্ছে ঠিক সেরকম আপনি একটা ওয়েবসাইট খুলুন ব্লগার ওয়েবসাইট, গুগলের ব্লগার ব্যবহার করতে পারেন কারণ এখানে হোস্টিং একদম ফ্রি। আচ্ছা ব্লগিং হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটে লেখালেখির কাজ। হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট আপনি যা জানেন তা অন্যকে জানাচ্ছেন।

একেই বলে ব্লগিং করা। ব্লগিং করার সুবিধা হচ্ছে যে সমস্ত মেয়েরা বাইরে কাজ করতে পারেন না তারা চাইলে ফুল টাইম ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। ধরেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আপনি কন্টেন্ট লিখবেন, এটাকে ব্লগিং করা বলে। আপনি এই কাজ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যে কারো জন্য করে দিতে পারেন আশা করছি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আর্টিকেল রাইটিং : বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটিং এই জবটি খুবই জনপ্রিয়। আপনার লেখার মধ্যে যদি ধারণা প্রকাশ করার ক্ষমতা ভালো থাকে অথবা বোঝাতে ভালো পারেন তাহলে এই জবটি আপনি করতে পারেন। একজন আর্টিকেল রাইটার মাসে প্রায়ই ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে রাইটিং টা শিখতে হবে ভালোভাবে।

কিভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, কিভাবে লেখা শুরু করতে হয় কপিরাইট ছাড়া লেখার নিয়ম কোনভাবেই কারো পোস্ট কপি করা যাবে না এই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এবং একজন ভালো রাইটার সবসময় পড়তে চাই। আর্টিকেল রাইটিং মেয়েদের জন্য খুবই ভালো একটি জব হতে পারে। শুধুমাত্র বাংলা ইংরেজি লেখা লেখির মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও, যে সমস্ত জনপ্রিয় বিষয়ে কাজ করে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা নিচে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন,
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন,
  • ভিডিও এডিটিং,
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট,
  • কন্টেন্ট রাইটিং,
  • ডাটা এন্ট্রি,
  • ব্লগিং,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং,
  • লোগো ডিজাইন,
  • সফটওয়্যার তৈরি।
উপরোক্ত যে কোন একটা বিষয়ে যদি আপনি পারদর্শী হয়ে থাকেন, অথবা পারদর্শী হতে চান তাহলে এখন থেকেই প্র্যাকটিস করা শুরু করে দিন। তবে সব বিষয়েই বেশি প্র্যাকটিস করতে হয় বিষয়টি এরকম নয়। যেমন ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ে সমূহ খুব একটা বেশি প্র্যাকটিস না করলেও আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম

অনেকে শখের বশে ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন। youtube থেকে টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তার মধ্যে youtube shorts এটা সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। ইউটিউব একটা এমন অনলাইন প্লাটফর্ম, যেখানে স্থায়ী ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব যদি মন দিয়ে কাজ করেন তাহলে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করা দুইটি অপশন আছে, একটি দীর্ঘ ভিডিও, এবং আরেকটি ইউটিউব শর্টস।

দীর্ঘ ভিডিও চাইতে ইউটিউব শর্ট থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এবং অনেকেই রয়েছেন যারা নিজেরা কন্টেন্ট তৈরি করতে চান না অথবা পারেন না। তারাও চাইলে কপি-পেস্ট ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং শুধু টাকাই নয় লক্ষ লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব ইউটিউব শর্ট ভিডিও বানিয়ে।

তবে বেশ কিছুদিন আগে, ইউটিউব থেকে এক হাজার ভিউয়ের বিনিময়ে এক ডলার পাওয়া যেত কিন্তু এখন তা কমে গেছে। এখন দিচ্ছে ৪০ সেন্ট যা প্রায়ই ৪৫ টাকার সমান। তাহলে বুঝতে পারছেন ইউটিউবে কাজ করার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। হাস্যকর বিনোদনমূলক ভিডিওসহ, বিভিন্ন মনীষীদের মোটিভেশন টাইপের শর্ট ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

তবে ভিডিও আপলোড করার সময় অবশ্যই এডিট করে নেবেন, আর তা না হলে আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম চলে আসতে পারে আশা করছি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউবে দীর্ঘ ভিডিও থেকে শর্টসে বেশি ইনকাম কেন বললাম এই কথা, দীর্ঘ ভিডিওতে সাধারণত প্রথম পর্যায়ে তেমন ভিউজ আসে না। যার ফলে ইনকাম শুরু হতে দেরি হয়ে যায় অনেক বেশি। আপনার যেমন ফেসবুক দেখতে পছন্দ করেন, ঠিক তেমনি youtube shorts দেখতেও অনেক মানুষ পছন্দ করে।

তবে এ ক্ষেত্রে শর্ট থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার চ্যানেলটি অবশ্যই মনিটাইজ হওয়া লাগবে এবং মনিটাইজ হওয়ার জন্য ইউটিউব এর কি কি শর্তাবলী রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ওয়াচ টাইম : এই ওয়াচ টাইম বিষয়টা খুবই জরুরী বিশেষ করে ইউটিউবের ক্ষেত্রে। তবে আমি খুব অল্প লেখার মাধ্যমে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য, ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এর প্রয়োজন হবে। এটা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি শুধু শর্ট ভিডিও নিয়ে কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে ৯০ দিনে ১ কোটি ভিউস থাকা লাগবে।

অথবা দীর্ঘ ভিডিওতে বারো মাসে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকা বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত ক্রাইটেরিয়া যদি আপনার পূরণ হয়ে যায় তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ৯০ দিনে ১ কোটি ভিউস নিয়ে আসা খুবই কঠিন, আবার সহজেও নিয়ে আসা যায়। ধরুন আপনার যেকোনো একটি ভিডিও যদি ভাইরাল হয়, সেই ভিডিওটাই প্রতিদিন লাখ লাখ ভিউজ দিতে সম্ভব হবে।

বেশি ভালো হয় যদি আপনি আপনার নিজের তৈরি করা কন্টেন্ট দিয়ে কাজ করেন। দীর্ঘ ভিডিওর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, ভিডিওগুলো যেন চার থেকে সাড়ে চার মিনিটের মধ্যেই থাকে। তবে যেহেতু ইউটিউব শর্ট থেকে ইনকাম করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে, তাই ইউটিউব শর্ট থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এ ব্যাপারে আপনাকে একটু বোঝানোর চেষ্টা করলাম।

সাবস্ক্রাইবার : অবশ্যই এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আপনার লাগবে এই মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার জন্য কখনোই সবাইকে লিংক শেয়ার করবেন না। যারা নতুন আছেন তারা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় লিংক শেয়ার করে থাকে আসলে এটা করা একদম উচিত নয়। আপনার সাবস্ক্রাইবার অর্গানিকভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে আপনি শুধু মন দিয়ে যদি কাজ করতে থাকেন।

বিনোদনমূলক, হাস্যরসিকতার ভিডিও চাইনিজ ভার্সন ডাউনলোড করে ইউটিউব শর্টসে আপলোড করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের কপিরাইট ক্লেইম আসবে না। প্রতিদিন যত খুশি বা যত পারবেন শর্ট ভিডিও আপলোড করবেন ইউটিউবে। এতে করে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

লেখক এর মন্তব্য

আমি মনে করি, ঘরে বসে আয় করার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো ব্লগিং করা এবং আর্টিকেল রাইটিং। কেননা ব্লগিং করা এবং আর্টিকেল রাইটিং এই দুইটা কাজ শিখতে তুলনামূলক অনেক কম সময় লাগে। এবং ইনকাম করা যায় বেশি। আপনি যদি টাইপিং এ পারদর্শী হন তাহলে আর্টিকেল রাইটিং এই জবাবটি অনলাইনে করতে পারেন।

তো এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় তার যতগুলো উপায় সমূহ রয়েছে, তাদের মধ্যে অল্প কিছু আমি তুলে ধরতে পেরেছি। এবং আশা করছি এই কনটেন্টটি পড়ার পরে আপনার কিছুটা না হলেও অনলাইন থেকে আয় করার ব্যাপারে ধারণা হয়েছে।

আর তাই এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনি কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন রকম আর্টিকেল নিয়মিত দেখতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • tanveer
    tanveer 5 December 2023 at 19:30

    nice. thanks for the useful post. keep it up

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url