কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি, বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম এই সমস্ত বিষয় নিয়ে থাকছে আজকের পোস্ট। প্রিয় পাঠক বাংলা আর্টিকেল লেখার এবং কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি, এই সম্পর্কে পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে আমার এই বিশ্লেষণ।শুরুতেই বলে রাখি আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখলে গুগলে সহজে র্যাংক করা যায়। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনেকেই শুদ্ধভাবে করতে জানেনা, যার ফলে গুগল রাঙ্কিং এ অনেক পিছিয়ে পড়ে। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন এবং কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি।
ভূমিকা
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথমে আপনাকে কি বিষয়ে লিখবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। এবং উক্ত বিষয়ে গুগলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখবেন। কিওয়ার্ড হল আপনি এই পোস্টটি যে শব্দ দ্বারা খুজে পেয়েছেন তাকে কিওয়ার্ড বলে।
আরো পড়ুন : একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করে
অনেকে আছেন যারা গুগলে খুঁজে থাকেন, কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি। অবশ্যই কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম যে ধাপটি সেটি খেয়াল রাখতে হবে, পড়তে থাকুন আশা করছি আপনার কাজে আসবে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
একটি ভালো আর্টিকেল লেখার নিয়ম সাধারণত নিম্নলিখিত মানদণ্ড অনুসারে হয়ে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি সেই নিয়ম গুলি। আমি আপনাদের মাঝে খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। বাংলা আর্টিকেল এবং ইংলিশ আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব শুধু আর্টিকেলি নয় ফেসবুকের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।
সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখে ফ্রিল্যান্সিং করলে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি, কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হচ্ছে বিষয় নির্বাচন করা, এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। নিচে সম্পূর্ণ তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
বিষয় নির্বাচন : প্রথমে আপনার আর্টিকেলের বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এবং এটি আপনার লেখার আঁধার হবে এবং আপনার লেখার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলবে। এটিই হচ্ছে কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ।
শীর্ষক আর শুরু : একটি স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয় শীর্ষক নির্বাচন করুন, এবং লেখার শুরুতে আপনার আর্টিকেলের পুরো তথ্য এমন ভাবে উপস্থাপন করুন যেন এই শীর্ষক তিন থেকে চার লাইনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। যার ফলে পাঠক বৃন্দ আপনার পুরো আর্টিকেলের ব্যাপারে একটি স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারে।
প্রধান বিষয় প্রদর্শন করা : প্রধান বিষয়ে প্রধান অনুচ্ছেদ ব্যবহার করুন এবং আরব বিস্তারিত প্রকাশের জন্য অন্যান্য অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয়।
প্রাথমিক ধারণা : লেখা শুরুর অংশে পাঠকদের আগে ধারণা দিতে হবে লেখার বিষয়ে, যাতে পাঠকগণ পুরো সময় জুড়ে আপনার আর্টিকেলটি পড়ে।
প্রমাণ সহকারে তথ্য প্রদান করা : আপনি যে বিষয়ে লিখছেন, লেখার সাথে সম্ভব হলে কোন প্রমাণ যুক্ত করে দিবেন। এবং অবশ্যই তা সঠিক তথ্যবহুল হতে হবে। প্রমাণসহ তথ্য দিয়ে পাঠকদের আপনার লেখার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
লেখার কৌশল : আপনার লেখা উপযুক্ত এবং স্পষ্ট হতে হবে অবশ্যই। লেখার ভাষা সহজ এবং সহজে বোধগম্য যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
লেখার মধ্যে ধারণা প্রকাশ করা : প্রত্যেকটি লেখার মধ্যে বা লেখার ধারণার মধ্যে প্রমাণ সহ কিছু উপস্থাপন করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনার লেখা যত সম্পূর্ণ ও স্বাভাবিক হবে আপনার আর্টিকেল ততো বেশি ভালো হবে।
সংক্ষেপণ এবং পরিষ্কারতা : যে কোন বিষয় অথবা যে বিষয়ে আপনার আর্টিকেল লিখছেন মনে রাখবেন সংক্ষেপে লেখার বা উপস্থাপনার ভ্যালুয়েশনটা বেশি থাকে। চেষ্টা করবেন সংক্ষেপে লেখা এবং উপস্থাপনা করার এবং অবশ্যই পরিষ্কারভাবে বুঝানো।
ত্রুটি পরিহার : লেখার শেষে নিজের লেখা পড়ে যাচাই করে দেখবেন, এবং নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার লেখায় কোন ত্রুটি নেই। কারণ ভুল ত্রূটি হলে আর্টিকেলের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন একটা বানান ও যেন ভুল না হয়।
আর্টিকেলে পয়েন্ট ব্যবহার করা : প্রতিটি পয়েন্টের মধ্যে যথার্থ ধারণা এবং আলাদা আলাদা ধারণা উপস্থাপন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পয়েন্ট বলতে আমি বুঝিয়েছি, সাধারণত পরীক্ষার হলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যেই পয়েন্ট ব্যবহার করি সেগুলো। আর্টিকেলের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই আপনি পাঁচ থেকে সাতটা পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে সুন্দর লাগবে।
আরো পড়ুন : ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়
বানান সঠিক রাখা : আপনার আর্টিকেল লেখা হয়ে গেলে, পুরো আর্টিকেলটি একবার ভালো করে চেক করে নিবেন যে কোথাও বানান ভুল হয়েছে কিনা। কেননা একটা ছোট্ট বানানো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়মের বাইরে চলে যেতে পারে।
উপরে যে সম্পর্কে আমি লিখেছি তা শুধুমাত্র বাংলা আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কিন্তু এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় এবং কেন লিখতে হয় সেক্ষেত্রে নিচে আলোচনা করা হলো। বলে রাখি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল আপনার পোস্টকে বা আর্টিকেলকে গুগল রাঙ্কিং এ এক নম্বরে নিয়ে যেতে পারবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম, আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন এইটা আবার কি বা এই কথা কেন বললাম পড়তে থাকুন আজকের এই আর্টিকেল আপনার অনেক কাজে আসবে। বিশেষ করে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম অবশ্যই জেনে থাকাটা খুবই জরুরী।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে ওয়ান পেজ এসিও ভালোভাবে শিখতে হবে। তাছাড়া আপনি গুগলে আর্টিকেলকে র্যাংক করাতে পারবেন না। এসইও (SEO) এর অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, Search Engine Optimization।
একটি আর্টিকেলকে গুগলে রেঙ্ক করানোর জন্য অবশ্যই এসইও করতে হবে। এসইও না করলে কোন আর্টিকেল গুগলে রেংকিং এ আসতে পারেনা। যার জন্য আপনার আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে, এসইও থাকা বাধ্যতামূলক। আসুন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ১
বিষয় নির্ধারণ করা : কোন পোস্ট লেখার প্রথম দিকেই আপনি কি বিষয়ে লিখবেন তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যাকে বিষয় নির্ধারণ করা বলা হয়ে থাকে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা : আপনি যে বিষয় নির্ধারণ করেছেন, গুগলে যে ঠিক সেই বিষয়ে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কেননা আপনি যদি চান আপনার পোস্ট ভার্টিকেল গুগলে রেংকিংয়ে এক নম্বরে থাকুক তাহলে, আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার কিছু ফ্রি ওয়েবসাইট রয়েছে বাট টুলস রয়েছে আমি সেগুলো দিয়ে দিচ্ছি চাইলে সেখান থেকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে পারেন। শুরুতেই গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার google keyword planner রয়েছে আপনারা google এ সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।
- Ahrefs
- Keyword generator
- Google keyword planner
এ সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে বা এ সমস্ত টুলস ব্যবহার করে আপনি আপনার নির্ধারণ করা বিষয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ফেলতে পারেন।
ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্ধারণ করা : ফোকাস কিওয়ার্ড বলতে আপনি যেই নির্ধারিত বিষয়ের উপরে লিখবেন সেটাকে ফোকাস কি ওয়ার্ড বলা হয়ে থাকে। ফোকাস কিওয়ার্ড এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে দুই রকম হয়ে থাকে। যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে নির্ধারিত কিওয়ার্ড কে ফোকাস কি ওয়ার্ড বলে। এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড যেটা মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ডের সাথে একবার থাকে।
মেটাডেসক্রিপশন এর ব্যবহার : মেটা ডেসক্রিপশন হচ্ছে আপনার আর্টিকেলে শুরুতে একদম শুরুতে দুই তিন লাইন আপনার পুরো আর্টিকেল সম্পর্কে লেখা বা পুরো আর্টিকেল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। যেখানে আপনার নির্ধারণ করা কিওয়ার্ড থাকতে হবে একবার। এবং দ্বিতীয় নির্ধারণ করা কিওয়ার্ড থাকতে হবে একবার।
টাইটেল নির্বাচন : আপনি যাকে ফোকাস কিওয়ার্ড ধরেছেন, আপনার লেখা আর্টিকেলের ক্ষেত্রে সেটাকেই টাইটেল হিসাবে ধরবেন। এবং অবশ্যই টাইটেলটি পাঁচ থেকে দশ শব্দের মধ্যে রাখবেন। আপনার সুবিধার্থে বলে রাখি টাইটেল এবং ফোকাস কিওয়ার্ড দুটো কিন্তু একই জিনিস আপনার নির্ধারিত বিষয় যার উপর আপনি লিখবেন।
মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা : মেটা ডেসক্রিপশনে আপনার নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে অথবা ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখবেন এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখবেন। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড মেটা ডেসক্রিপশন এর মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক এবং অবশ্যই একবার করে।
ফোকাস কিওয়ার্ড পুরো পোস্টে ব্যবহার : আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড সারা পোস্ট জুড়ে হুবহু ৮ বার থাকতে হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ৮ বারের বেশি রাখলে সমস্যা হতে পারে এবং ৮ বারের কম রাখলে সমস্যা নেই কিন্তু আট বার রাখাটাই ভালো, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে।
সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড এর ব্যবহার : আপনার নির্ধারণ করা যেই সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ডে রয়েছে সেটি, পুরো আর্টিকেল জুড়ে মোট দুইবার ব্যবহার করবেন এর বেশি করা যাবে না এবং এর কমও করা যাবে না।
সূচিপত্র তৈরি করা : আপনি যে কীওয়ার্ডের উপরে আর্টিকেল লিখেছেন তার একটা সূচিপত্র তৈরি করতে হবে এটা করলে কি হবে, পাঠক বৃন্দ এসে আপনার আর্টিকেলের পুরো বর্ণনা অল্প সময়ের মধ্যে বুঝতে পারবে এবং পড়ার একটা আগ্রহ তৈরি হবে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২
এ পর্যায়ে বাংলা আর্টিকেল লেখার বিশেষ কিছু নিয়মের ব্যাপারে আলোচনা করার চেষ্টা করব। এই আলোচনার পর্বে থাকছে বাংলা আর্টিকেলের ভিতরে বা অভ্যন্তরে বিশেষ কিছু করণীয় কাজ, যা আপনার আর্টিকেলকে গুগল রাঙ্কিং এ নিয়ে যেতে বাধ্য করবে।
ফিচার ইমেজ যুক্ত করা : ধরুন আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সে বিষয়ের উপরে একটা ছবি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে যুক্ত করলে নিশ্চয়ই দেখতে ভালো লাগবে তাই না? আর তাই আপনার আর্টিকেলের জন্য একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করুন। এবং ছবির সাথে মিল রেখে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডসহ কিছু শব্দ জুড়ে দিন।এতে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে বেশ চমকপ্রদ হবে।
স্ক্রিনশট যুক্ত করার নিয়ম : বাংলা আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সুন্দরভাবে বা পেশাদারভাবে স্ক্রিনশট নিতে জানতে হবে। স্ক্রিনশট নেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত কোন অংশ যেন স্ক্রিনশট এর ভিতরে চলে না আসে। আর এজন্য আপনারা একটা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন আমি এটার নাম দিয়ে দিচ্ছি। Light Shot এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে খুব সুন্দর ভাবে স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
ফিচার ইমেজ যুক্ত করার নিয়ম : ফিচার ইমেজ যুক্ত করার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে, কোন ছবি ডাউনলোড করে বা ছবির ইউআরএল কপি করে কখনোই আপনার আর্টিকেলে যুক্ত করবেন না। কারণ ভবিষ্যতে যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ওই ছবিটি ডিলিট করে দেওয়া হয় তখন আপনার আর্টিকেলে উক্ত ছবিটি দেখাবে না।
তাছাড়া কপিরাইট হবার সম্ভাবনাও ১০০% থাকে। আর তাই আমি রেকমেন্ড করি ফিচার ইমেজ নিজে তৈরি করে নেওয়া। ইমেজ সেট করার সময় ইমেজ সেটিং এ অল্টারটেক্সট এবং টাইটেল টেক্সট এ অবশ্যই আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড এ যে নামটা ব্যবহার করেছেন সেটাই ছবির টাইটেল টেক্সট এবং ওয়াল্টার টেক্সট এ ব্যবহার করবেন।
কপিরাইট ফ্রি ছবি ব্যবহার : আপনি যদি চান যে, গুগল থেকে কোন ছবি আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে রাখবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স থেকে ছবি ডাউনলোড করতে হবে। প্রথমে গুগলে সার্চ করবেন এরপরে ইমেজে ক্লিক করবেন, তারপর ডান পাশে দেখতে পাবেন টুলস নামে একটি অপশন আছে
ওখানে ক্লিক করলে ইউজ রাইটস নামে একটি অপশন আছে,এখানে ক্লিক করলে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এই অপশনটি পেয়ে যাবেন। আর এখানে ক্লিক করলেই ফ্রি যত ছবি আছে আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন
আপনাদের বোঝানোর স্বার্থে আমি স্ক্রিনশট দিয়ে দিলাম। এই নিয়মে কাজ করলে আশা করছি আপনার আর্টিকেলটি গুগল রাঙ্কিং এ ১ থেকে ৫ নম্বরের মধ্যেই থাকবে।
লাইন গ্যাপ দিয়ে আর্টিকেল লেখা : আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই লাইন গ্যাপ রেখে বা নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্যাপ রেখে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে। কতটুকু গ্যাপতে লিখতে হবে তা আমি বলে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ ৩.৫ এর মধ্যে একটি প্যারা লিখে ফেলতে হবে। যাতে করে পাঠক বৃন্দ ঘাবড়ে না যায়।
আর্টিকেল ফরমেট : এ পর্যায়ে আর্টিকেল লিখা শেষ হয়ে গেলে, আর্টিকেল ফরম্যাট করতে হবে। ফরমেট মানে ডিলিট করে দিতে হবে সেই ফরম্যাট না। এর মানে হচ্ছে পুরো আর্টিকেলের ভেতরের লেখার অংশগুলো জাস্টিফাই করতে হবে এবং অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করে নিতে হবে। যাতে লেখাগুলো সমান দেখায় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম ৩
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের অথবা কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে নিশ্চিত থাকেন ইনশাআল্লাহ আপনার আর্টিকেল গুগল রাংকিং এ এক থেকে পাঁচের মধ্যেই থাকবে।
আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা : আপনি যে বিষয়ে বা যে ধরনের আর্টিকেল লিখছেন, সে সম্পর্কিত কিছু আপনার পোষ্টের মধ্যে বা ওয়েবসাইটের মধ্যে যদি থাকে তাহলে সেই পোস্টের লিংক সহকারে আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে কিভাবে তা আমি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছি।
এই যে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দুইটা রঙিন বর্ডার এর মধ্যে আরো পড়ুন একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত ঠিক এইভাবে আপনারা আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করে ফেলবেন। আসলে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত আয় করে তা অবশ্যই একবার দেখে আসবেন।
ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করা : একটি আর্টিকেলের এসইও ঠিকঠাক ভাবে রাখতে হলে, অবশ্যই আপনাকে অন পেজ এসিও এবং অফ পেজ এসইও ভালোভাবে জানতে হবে। সেক্ষেত্রে ইন্টার্নাল লিংক এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করতে হবে। উপরে যেভাবে আমি দেখালাম ঠিক সেভাবে আরো পড়ুন সেকশন এবং লেখার মাঝে লিংক যুক্ত করা।
যেমনটি আমি যুক্ত করেছি, আপনি একবার আমার লিংকে ক্লিক করে দেখুন আপনাকে অন্য একটা পেজে নিয়ে যাবে। ঠিক এভাবে ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করতে হবে। ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে লেখার মধ্যে লিঙ্ক করা এবং এক্সটার্নাল লিংক হচ্ছে আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা।
ঠিকভাবে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা : একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সব থেকে সঠিক নিয়ম হলো প্রকাশ কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার। কেননা এই ফোকাস কিওয়ার্ড টা আপনার পুরো পোস্ট জুড়ে খুব ভালোভাবে রাখতে হবে। আর এই ফোকাস কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলটি গুগলে রেংকিং এ খুজে পাওয়া যাবে।
রিভিশন করা : আর্টিকেল লেখা শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই আপনি ১ থেকে ২ বার রিভিশন করে নেবেন। রিভিশন করার ফলে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে কোথাও ভুল হয়ে থাকলে সেগুলো সংশোধন করতে পারবেন। ছোট বানান বা ছোট ছোট মিসটেকগুলো সংশোধন করে পাবলিশ করবেন।
ভূমিকা এবং শেষ কথা যুক্ত করা : একটি আর্টিকেলে বা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলে সঠিকভাবে পরিপূর্ণ রাখতে হলে আপনাকে ভূমিকা এবং আর্টিকেলের সব শেষে শেষ কথা, লেখকের মন্তব্য, অথবা পরিসমাপ্তি ইত্যাদি নামে একটি অংশবিশেষ রাখতে হবে। যাতে করে শেষ কথাটা আপনি দুই তিন লাইনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে পারেন। বা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করতে পারেন এই শেষ কথায়। এতে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে আরো চমকপ্রদ হয়ে যাবে।
লেখকের মন্তব্য
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে অথবা এসিও ফ্রেন্ডলি কোন ধরনের আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও ঠিকঠাকভাবে শিখতে হবে বা ভালোভাবে জানতে হবে। আমার দেওয়া বা আমি যতদূর শিখেছি তা থেকে আপনাদের কেউ শেখানোর চেষ্টা করলাম আমার এই নিয়মগুলো আশা করছি আপনার অনেক কাজে দিবে। তবে এভাবে পোস্ট লিখলে গুগল রেংকিং এর শীর্ষে থাকা সম্ভব।
প্রিয় পাঠক, আশা করছি বাংলা আর্টিকেল লেখার পুরো নিয়ম এবং কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই সমস্ত ব্যাপারে আপনি আমার এই পোস্ট পড়ে বুঝেছেন। আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার একটুও উপকার হয় তাহলে একটা কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url