*/

বিটকয়েন কি

বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, বিটকয়েন কি তা জানতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে বিটকয়েনের ইতিহাস। ২০০৯ সালের সর্বপ্রথম বিটকয়েন বিশ্ববাজারে উন্মোচন করা হয়। বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা বা ভার্চুয়াল টাকাও বলা যেতে পারে। প্রিয় পাঠক বন্ধু বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে থাকছে আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট।
বিটকয়েন কি

এক বিটকয়েন সমান বাংলাদেশি কতো টাকা

এক বিট কয়েন সমান আজকের তারিখ অনুযায়ী ২১শে নভেম্বর ২০২৪ ডলারের রেট অনুযায়ী $93,920। আর এটাকে যদি আমরা বাংলা টাকায় কনভার্ট করি তাহলে দাঁড়াই, এক কোটি ১১ লক্ষ ৭ হাজার ৬৫০ টাকা ১১,১৭,৬৫০ টাকা (১১.১৭ মিলিয়ন)। অনেক বড় একটা অ্যামাউন্ট একটা মাত্র বিটকয়েনের দাম। আর তাই বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে তা আমাদের খুব ভালো করে জানতে হবে।

বিটকয়েন এবার রেকর্ড করলো, আজ  ০৫/১২/২০২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম এক লক্ষ তিন হাজার ইউ এস  ডলার  $103,396.20। 
বিটকয়েন কি


আসলে কি জানেন বিটকয়েনের কোন মূল্যই নাই, অর্থাৎ মানুষের মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে বিটকয়েনের। বিটকয়েন তো শুধুমাত্র কম্পিউটারের অ্যালগোরিদম দ্বারা গাণিতিক সমস্যার সমাধান মাত্র। আর বর্তমান সময়ে একটা বিটকয়েনের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি টাকারও বেশি। তো যাই হোক চলন বিটকয়েনের গভীরে প্রবেশ করা যাক। আমি খুব সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝানোর চেষ্টা করব।

বিটকয়েন কি 

আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। বিশ্বের সর্বপ্রথম স্বাধীন এবং মুক্ত ক্রীপ্টো কারেন্সি যাকে ডিজিটাল মুদ্রা অথবা ভার্চুয়াল টাকাও বলা যেতে পারে। বিটকয়েন হল পি টু পি অর্থাৎ পিয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে কাজ করে। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামতো নামের একজন ব্যক্তি এবং তার সাথে একাধিক কয়েকটা ব্যক্তি মিলে এই ডিজিটাল মুদ্রা বা ভার্চুয়াল টাকার আবিষ্কার বা প্রচলন করে। যা বর্তমানে বিটকয়েন নামে পরিচিত।

বিটকয়েন কি? বিটকয়েন হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি অথবা ভার্চুয়াল টাকা বলতে পারেন। যা কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। এটি একটি ব্লক চেঞ্জ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সে তার মত কাজ করে। তবে বিটকয়েন সম্পর্কে বিশদ ধারণা যদি নিতে চান তাহলে আপনাকে ব্লকচেইন প্রযুক্তিটা বুঝতে হবে।


বিটকয়েনের লেনদেন সাধারণত কম্পিউটার থেকে আরেকটা কম্পিউটারে হয়ে থাকে। এবং বিটকয়েন লেনদেনের যে ট্র্যাক সেটা চিহ্নিত করা খুবই মুশকিল বা অসম্ভব। যে কারণে গোপনীয়তা বিটকয়েনের সব থেকে বেশি। প্রেরক থেকে সরাসরি প্রাপকের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই লেনদেনগুলো হয় ডার্ক ওয়েব এর ক্ষেত্রে।

ডার্ক ওয়েবে বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র কেনাকাটা এই বিটকয়েন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আশা করছি আপনি এতক্ষণে একটু একটু বুঝতে পারছেন যে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে।

তবে বর্তমান সময়ে বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা বা বৈধভাবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুরুর দিকে অনেক দেশ এর বৈধতা দিতে চাইনি, কিন্তু এখন বেশিরভাগ দেশেই এই বিটকয়েন বৈধ তবে বাংলাদেশ বিটকয়েন কে এখনো বৈধতা দেওয়া হয়নি। আসলে বিটকয়েন বলতে শুধুমাত্র একটা কয়েনকেই বোঝায় না বিটকয়েন হল সমস্ত ক্রিপ্টো কয়েনের রাজা।

শুরুতেই আপনাদেরকে দেখালাম যে বিটকয়েনের মূল্য একটা বিটকয়েনের মূল্য বাংলাদেশ ১ কোটি প্লাস টাকা। যে কারণে অনেক মানুষ বিটকয়েন মাইন করার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য আপনার অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, অথবা খুব দামি কম্পিউটার কিনতে হবে। কারণ বিটকয়েন মাইন করতে গেলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ এবং দামি ইকুইপমেন্টস এর প্রয়োজন হয়।

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে

বিটকয়েন একটি ব্লকচেইন সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে। ব্লকচেইন হলো একটি ডিজিটাল লেজার বা ডাটাবেজ। যেখানে সমস্ত লেনদেনের তথ্য একটি চেইন এর মত সংরক্ষিত থাকে। এ কারণে আমি শুরুতে আপনাকে বলেছি বিটকয়েন কি বা বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এটা বুঝতে হলে আপনাকে ব্লক চেন প্রযুক্তি বুঝতে হবে আসুন তাহলে একটু বুঝে নেওয়া যাক।

আর হ্যাঁ আপনি কিন্তু মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিটকয়েন মাইনিং করতে পারবেন কিভাবে সেটা পরে দেখিয়ে দিচ্ছি। তার আগে আসুন দেখেনি ব্লকচেন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি

বিটকয়েন একটি ব্লক চেইন সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটি হলো একটি ডিজিটাল লেজার বা ডাটাবেজ।

  • প্রতিটি লেনদেন একটি ব্লকে রেকর্ড করা হয়।
  • এই ব্লকগুলো ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।
  • ব্লকচেইনটি বিকেন্দ্রীভূত (Decentralized), অর্থাৎ এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সার্ভারে সংরক্ষিত হয় না বরং লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারে একযোগে থাকে।

মাইনিং প্রক্রিয়া

  • বিটকয়েন মাইনিং বা তৈরি করার জন্য খনন প্রক্রিয়া অর্থাৎ মাইনিং কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
  • মাইনিং-এর মাধ্যমে মাইনাররা জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেন।
  • সফলভাবে সমস্যার সমাধান করা হলে একটি নতুন ব্লক তৈরি হয় এবং এটি ব্লকচেইনে যুক্ত হয়।
  • মাইনাররা এর জন্য পুরস্কার হিসেবে নতুন বিটকয়েন পান।
বিটকয়েন আদান-প্রদান পদ্ধতি : বিটকয়েনে একটি পদ্ধতিতে কাজ করে সেটা হল P2P অর্থাৎ পিয়ার টু পিয়ার । PEER TO PEER । প্রেরক এবং প্রাপক উভয়েই সরাসরি এই পদ্ধতিতে বিটকয়েন লেনদেন করতে পারেন।
  • এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা ব্যবহারকারীর একটি ডিজিটাল ওয়ালেট থাকা বাধ্যতামূলক।
  • ওয়ালেটের দুটি কি থাকে অর্থাৎ একটি পাবলিক কি এবং অপরটি প্রাইভেট কি। এই কি কিন্তু খুবই গোপনীয় চাবি বা কি।
  • পাবলিক কি ব্যবহার করে লেনদেনের ঠিকানা শেয়ার করা হয়, এবং প্রাইভেট কি ব্যবহার করে লেনদেন অনুমোদন করা হয়ে থাকে।
পাঠক বন্ধু আশা করছি আপনি বুঝতে পারছেন বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। বিটকয়েনের সব থেকে নিরাপত্তা বেশি থাকে। অর্থাৎ বিটকয়েন কে সহজে ট্র্যাক করা যায় না বা লেনদেন ট্র্যাক করা যায় না যে কারণে বিটকয়েন বেশি ব্যবহৃত হয় ডার্ক ওয়েব এই সমস্ত অবৈধ পথে।

বিটকয়েনের নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা 

  • বিটকয়েন ব্লক চেইন সবথেকে স্বচ্ছ এবং সব থেকে বেশি নিরাপত্তা দিয়ে থাকে ।
  • ব্লকচেইনে রেকর্ডকৃত তথ্য পরিবর্তন করা খুবই কঠিন, কারণ প্রতিটি ব্লক তার আগের ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে।
  • এটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতি দ্বারা সুরক্ষিত, যা তথ্য চুরি বা হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করে।
তবে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে বিটকয়েন ২১৪০ সাল পর্যন্ত মাইনিং করা হবে বা তৈরি হবে। এই সময়ের পরে নতুন করে বিট কয়েন আর তৈরি হবে না বা মাইনিং করা যাবেনা। আর এই ২১৪০ সাল পর্যন্ত বিটকয়েন তৈরি হবে মোট ২,১০,০০,০০০। অর্থাৎ 2 কোটি 10 লক্ষ বিটকয়েন তৈরি হবার পরে এটা আর মাইনিং হবে না বা তৈরি হবে না।

বিটকয়েন এর ব্যবহার

বর্তমান বিশ্বে বিটকয়েনের ব্যবহার ব্যাপক হারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বলতে গেলে এখন বিটকয়েন অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিটকয়েনের এই জনপ্রিয়তার কারণে এখন বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের পেমেন্ট পদ্ধতিতে এই বিটকয়েন কে যোগ করেছেন। কেননা বিটকয়েনের গোপনীয়তা বা সিকিউরিটি বেশি থাকে সেক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলো অনেক বেশি সুবিধা পায়।

বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা

বিটকয়েন দিয়ে আজকাল বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনাকাটা করা যাচ্ছে। বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা যাচ্ছে বললে ভুল হবে আসলে বিটকয়েন তার জনপ্রিয়তার কারণে ডিজিটাল মুদ্রায় পরিণত হয়েছে আমি শুরুতেই আপনাদের বলেছিলাম বিটকয়েন কে ভার্চুয়াল টাকা বা ডিজিটাল মুদ্রা বলা যায়। বিভিন্ন জায়গাতে এখন বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা যায়।

অর্থ আদান-প্রদানের সুবিধা

বিটকয়েন ব্লক চেইনের কারণে অর্থ আদান-প্রদানের বিশেষ সুবিধা হয়েছে যেহেতু বিটকয়েন বহুল ব্যবহৃত এবং অনেক দামী একটা কয়েন, তাই বিভিন্ন দেশে বৈধ হোক বা অবৈধভাবে হোক মানুষ বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করে থাকে। কেননা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনের স্বার্থের ডলার কেনা যায় না,


তখন দেখা যায় বিভিন্ন বড় বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জারে মানুষ বিটকয়েনের আদান প্রদান করে থাকে। তবে এখনকার সময় এই বিটকয়েনের আদান-প্রদান টা লেনদেনটা খুবই সক্রিয় এবং নিরাপদ। যে কারণে বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এবং ইন্ডিয়ার অনেক ফ্রিল্যান্সারও বিটকয়েনের মাধ্যমেও আদান-প্রদান করে থাকছে।

তো প্রিয় পাঠক বন্ধু বিটকয়েন সম্পর্কে আরো অনেক কিছু বলার আছে যেগুলা লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে আমি খুব সংক্ষেপে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমি যেহেতু বলেছিলাম বিটকয়েন কি এবং মোবাইল দিয়ে কি বিটকয়েন মাইন করা যায় কিনা? হ্যাঁ বন্ধুরা যাই। আসুন আপনাদের মোবাইল দিয়ে কিভাবে বিটকয়েন মাইন করা যায় এ ব্যাপারে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি।

এখন কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো দিয়ে বিটকয়েন মাইন করা যায়। আমি নিচে সেগুলো একটু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

CryptoTab Browser: এটি একটি ব্রাউজার-ভিত্তিক অ্যাপ, যা মোবাইল দিয়ে মাইনিং-এর সুযোগ দেয়। এটি ওয়েব ব্রাউজ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইনিং করে। এটি গুগল প্লে স্টোরে গেলেই পেয়ে যাবেন।
NiceHash বা MinerGate Mobile Miner: এই অ্যাপগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করতে ব্যবহৃত হয়।

তবে এই অ্যাপগুলোর কার্যক্ষমতা তেমন ভালো নয়, এগুলা খুব কম পরিমাণে খুবই সামান্য পরিমাণে বিটকয়েন মাইনিং করতে পারে।

আপনি চাইলে মাইনিং পুলে যোগদান করে মাইনিং করতে পারেন। জনপ্রিয় কিছু মাইনিং পুল রয়েছে যেমন Slush Pool, F2Pool ইত্যাদি।

আমি সর্বশেষ যেই মাইনিং এর কথাটা বলব সেটা হচ্ছে, ক্লাউড মাইনিং সিস্টেম। আপনি এখানে ইনভেস্ট করে বা মাইনিং মেশিন অথবা হার্ডওয়ার ভাড়া নিয়ে মাইনিং করতে পারেন। এখানে মাইনিং করার জন্য আমি দুইটা প্লাটফর্মের কথা বলব এক নম্বর হচ্ছে,
  • Genesis Mining
  • Hashflare
এই দুই জায়গায় আপনারা ইনভেস্ট করে মাইনিং করতে পারেন। তবে অবশ্যই ভালো করে জেনে বুঝে সতর্কতার সাথে ইনভেস্ট করবেন। যেমন লাভ আছে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কিন্তু রয়েছে। ক্লাউড মাইনিং এ একটু রিস্ক থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে আপনি একটু দেখে শুনে ইনভেস্ট করতে পারেন।

লেখক এর কিছু কথা

পাঠক বন্ধু আপনি এতক্ষণ ধরে পড়েছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি বিটকয়েন কি বা বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। আসলে বিটকয়েন এমন একটা জিনিস এটা অল্প লিখে বা বলে বোঝাতে একটু সমস্যা হয়ে যায়। তবে বিটকয়েন সর্বকালের সেরা দামী একটা কয়েন। যেকোনো জায়গায় বিটকয়েনে ইনভেস্ট করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নেবেন, কারণ বিটকয়েনের দাম সব সময় উঠানামা করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url