*/

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় অথবা মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার উপায় প্রতি মাসে। হ্যাঁ পাঠক বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাতে চলেছি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি একজন মেয়ে হন এবং মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আপনার ঘরে বসে আয়  করার স্বপ্ন পূরণ হবে ইনশাল্লাহ।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন। আর তাই আমি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে সহজ কাজগুলো তুলে ধরবো, যার মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়ে আয় করতে সক্ষম হবেন ইনশাল্লাহ।


চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়।

অনলাইনে কি কি কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে আগে ভালোভাবে বুঝতে হবে, আপনি কোন ধরনের কাজ করে আয় করতে চাচ্ছেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এগুলা খুব ভালো হয় নিচে সেগুলো তুলে ধরলাম।

আপনার হাতে যদি মোবাইল ফোন অথবা সব থেকে ভালো হয় যদি একটা কম্পিউটার থাকে সেক্ষেত্রে আপনার মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

নিচে আমি পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি বেশ কয়েকটি কার্যকরী উপায়, আসলে উপায় বলা ভুল হবে আপনাকে বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরেছি যদি সেগুলা ফলো করতে পারেন বা সে অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে খুব ভালো করে বুঝে যাবেন।
  • ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে আয়
  • ফেসবুক রিলস থেকে আয়
  • ইউটিউব সর্টস থেকে আয়
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আয়
  • ভিডিও এডিটিং করে আয়
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে আয়
  • কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
  • ডাটা এন্ট্রি থেকে আয়
  • সফটওয়্যার তৈরি করে আয়
  • ফেসবুক অথবা ইউটিউবে কুকিং চ্যানেল তৈরি করে আয়

ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় ২০-৩০ হাজার টাকা

ব্লগিং ব্লগার এ শব্দগুলোর সাথে আপনি একটু না হলেও পরিচিত আছেন। যেহেতু আপনি আজকে এই পোস্টটি পড়তে ঢুকেছেন, তাই আমি ধরে নিলাম ব্লগার বা ব্লগিং কাকে বলে আপনি জানেন। এই মুহূর্তে আপনি যে পোস্টটি পড়ছেন এটি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট।

আর আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন আমার মত, তাহলে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি লেখা শুরু করে দিতে পারেন।

এখন আপনার মনে হতে পারে এই লেখালেখি করে কি লাভ, আসলে এই লেখালেখির মধ্যে আপনার ইনকামের সুযোগ থাকছে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। আপনি যখন একটা ব্লগার ওয়েবসাইট খুলবেন বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট খুলবেন,

তখন সেখানে নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি পূরণ করার পরে খুব সহজেই এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


এবং আপনার সেই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে দৈনিক 500 থেকে 600 টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। আমার কাছে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সবথেকে সেরা উপায় হল এই ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করা।

কেননা আমি নিজেই এখান থেকে বেশ ভালো পরিমাণে আয় করছি। আর তাই আপনিও ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার উপায় প্রতি মাসে।

তাহলে আশা করছি আপনি বুঝতে পারছেন, একজন ব্লগার যখন তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অবশ্যই তার মধ্যে কিছু না কিছু থাকে। তো মূলত ছিল এটা আমার প্রথম একটা পয়েন্ট মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

এখন আপনার মনে হচ্ছে, আমি তো লেখালেখি করতে পারি না তাহলে আমি কি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবো না? এরপরও আপনি জানতে চাচ্ছেন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়।

আপনি যদি আমার পোস্টটি এত দূর পড়ে থাকেন, তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমি নিচে যে পয়েন্টটা তুলে ধরতে চলেছি সেটা থেকে আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন মাসে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় এর মধ্যে, বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় এবং সহজ মাধ্যম হলো ফেসবুক এবং ইউটিউব শর্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা। আপনি শুনে আশ্চর্য হলেও, এটাই বাস্তব কথা। ফেসবুক রিলস থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা অথবা তার থেকেও অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।

এজন্য শুরুতেই আপনাদের প্রথমে যা করতে হবে, আপনার যদি ফেসবুক আইডি থেকে থাকে, তাহলে ফেসবুক আইডি অথবা যদি মনে করেন নতুন একটি পেজ দিয়ে শুরু করবো তাহলে একটি পেজ তৈরি করে ফেলুন। এরপরে সেই পেজে আপনি ছবি আপলোড এবং ছোট ছোট ভিডিও বা রিলস আপলোড করতে থাকুন টানা তিন মাস।

প্রথম দিকে আপনার মনে হতে পারে যে আমার কোন ইনকাম হবে না, কিন্তু আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আপনি যদি টানা তিন মাস, প্রত্যেক দিন দুইটা তিনটা করে রিলস ভিডিও আপলোড করতে থাকেন আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক প্রোফাইলে তাহলে,

এই তিন মাসের মধ্যে আপনি প্রত্যেক মাসে শুরুর দিকে 15 থেকে 25 হাজার টাকা করে আয় করতে পারবেন। এবং পর্যায়ক্রমে যখন আপনার পেজের বয়স বেশি হবে অথবা প্রোফাইলের বয়স বেশি হবে আপনার ভিডিওতে যখন বেশি বেশি আরো ভিউজ আসবে তখন আপনি লক্ষাধিক টাকার বেশি আয় করতে পারবেন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে।


এখন আপনি আবার মনে করবেন না যেন, যে ফেসবুকে শুরু থেকে ভিডিও দিলেই ইনকাম শুরু হয়ে যায়। দেখেন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন। শুরুতে আপনাকে কেউ এত টাকা দিবে না,

তবে যখন আপনি তিন থেকে ছয় মাস টানা কাজ করবেন আমি নিশ্চিত করে বলছি বা গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আপনি খুব সহজে,

২০-৩০ হাজার নয় লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন এই ফেসবুক রিলস ভিডিও বানিয়ে। তবে শুধুমাত্র আপনাকে ধৈর্য ধরে তিন থেকে ছয় মাস কাজ করে যেতে হবে। যদি আপনার হাতে এই সময়টুকু থাকে তাহলে এখনই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলুন এবং মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার উপায় খুব সহজেই গড়ে তুলুন। কিভাবে তা নিচে আলোচনা করছি একটু কষ্ট করে মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

গৃহিণী হয়ে কিভাবে আয় করা যায়

আপনি যদি একজন গৃহিণী হয়ে ইনকাম করার মানসিকতা রাখেন সেক্ষেত্রে, এই নিচের উপায়টি আপনার জন্য সবথেকে ভালো এবং কার্যকর হতে পারে আসুন আপনাকে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করি।

ইউটিউবের মধ্যে ১৫ থেকে ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে আপনি মাস শেষে একটা ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেকোনো ধরনের ভিডিও আপনি যদি চাহিদা রাখেন বা আপনার যদি, ভিডিওগ্রাফির প্রতি ভালো লেগে থাকে সেক্ষেত্রে এ কাজটি আপনার জন্য একদম পারফেক্ট।


শুরুতে আপনাকে ইউটিউবে একটি ব্র্যান্ড চ্যানেল খুলতে হবে। এটা খুব সহজে খুলে নিতে পারবেন, এবং প্রতিদিন ইউটিউবে ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করে চ্যানেল মনিটাইজ করার মাধ্যমে মাস শেষে কয়েক হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

এই কথাটা আপনি মনে মনে হয়তো ভাবছেন অনেক কঠিন হবে আমার জন্য, না ভাই বিশ্বাস করেন ফেসবুকের মত ইউটিউবেও যদি আপনি তিন থেকে ছয় মাস কাজ করেন আপনি এখান থেকে সহজেই চ্যানেল মনিটাইজ করে ইনকামের পথে চলে যেতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদাগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল একটি কাজ। আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা এবং লোগো তৈরি করার প্রতি আগ্রহ অথবা এই কাজ জেনে থাকেন তাহলে

এই কাজটি আপনার জন্য সবথেকে সেরা হতে পারে। শুধু সেরা কাজই নয় এখান থেকে মাস শেষে সর্বসেরা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় লিখে সার্চ করে থাকেন, তাহলে আপনার এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ থেকে

মাস শেষে লক্ষাধিক টাকার বেশি আয় সক্ষম হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো কেমন হয় আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে নিতে পারেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য শিখতে চান তাহলে দেরি করবেন না, কেননা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা।

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার উপায়

ওয়েব ডিজাইন :  আপনার হাতে যদি একটা কম্পিউটার থাকে তাহলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আপনি মাস শেষে একটা ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইট ডিজাইনারদের বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অনেক চাহিদা। আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে।

মাইক্র জব ডট কম থেকে আয় : microjob.com একটি অনলাইন ইনকাম প্রতিষ্ঠান। আপনি চাইলে এখান থেকে ভিডিও দেখা অর্থাৎ ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। খুব ছোট ছোট কাজ করে ভিডিওর কোড বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্ট এনআইডি দিয়ে একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এটি।

গিগ ক্লিকারস ডট কম Gigclickers.com : এই ওয়েবসাইট থেকে একই প্রসেসে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে আমি নিজেও ইনকাম করেছি, তাই আপনাদের আমি সাজেস্ট করলাম। যে সমস্ত মেয়েরা ঘরে বসে আয় করতে চাচ্ছেন আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে, উক্ত ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করলে ওয়েবসাইটটি সামনে পেয়ে যাবেন এবং সেখানে আপনার ব্যবহৃত যে কোন একটি জিমেইল দিয়ে সাইন আপ করে নেবেন। তারপরে দেখতে পাবেন কাজের তালিকা সেখান থেকে যে কোন কাজ করতে পারবেন।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

এখানেও ইউটিউবের ভিডিও দেখে, ভিডিওর কোড বসিয়ে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ইনফরমেশন সংগ্রহের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং এই ওয়েবসাইটের সব থেকে ভালো দিকটি হলো এরা বিকাশ, রকেট, এবং নগদের মতো জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পেইড করে।

Clickworker.com : ঠিক একই ভাবে যেমনটা গেট ক্লিকারসে করেছিলেন এখানেও সাইন ইন করে নেবেন একাউন্ট খুলে। খুব ছোট ছোট কাজ করতে পারবেন যেমন ডাটা এন্ট্রি সার্ভে এবং লেখা সম্পাদনা করা।

Microworkers.com : মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি খুব জনপ্রিয়, এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন যেমন লেখালেখি করা, ভিডিও দেখা এবং অ্যাপ টেস্টিং ইত্যাদি।

Rapidworkers.com : মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এই ওয়েবসাইটে খুব ছোট ছোট কাজ করতে পারবেন যেমন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারবেন, এভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এরপরে ভিডিও দেখা বিভিন্ন কনটেন্টের রেটিং দেওয়া ইত্যাদি কাজ করে মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


বর্তমান সময়ে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করা এটা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। আপনাকে শুধুমাত্র কিছু সময় এবং হয়তো ছয় মাস থেকে এক বছর কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। উপরে যে আমি পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছি, মনে করেন আপনি লোগো তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

মেয়েরা ঘরে বসে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

যেহেতু আপনি মেয়ে মানুষ আপনার প্রয়োজন ঘরে বসে আয় করার। আপনার সেই দিকটি বিবেচনা করে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আজকে খুব যত্ন সহকারে লিখেছি আমি। মেয়েরা ঘরে বসে কিভাবে টাকা আয় করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত পুরো পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আমি নিচে কিছু বিশেষ উপায় তুলে ধরলাম যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং জগতের মধ্যে সবথেকে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এই ডাটা এন্ট্রি কাজটা শিখতে খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না, সর্বোচ্চ দুই তিন ঘন্টা একটা টিউটোরিয়াল দেখলেই আপনি বুঝে যাবেন। তবে হ্যাঁ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে খুব ভালোভাবে একটা গিগ ক্রিয়েট করতে পারলে, আপনি মাস শেষে বেশ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেহেতু অনেক মেয়ে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটু অল্প বোঝে আর তাই এই ডাটা এন্ট্রি আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রার শুরুর দিকে আপনাকে এগিয়ে নিতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করবে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবথেকে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। ডাটা এন্ট্রি সহজ কেন বললাম, এর কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ফর্মে ফিলাপ করে দেওয়া কে ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। আর এই কাজের জন্য আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না, ধরুন

একজন আপনাকে কাজ দিবে এবং সে কাজের ধরনও আপনাকে বুঝিয়ে দেবে শুধু আপনাকে সেখান থেকে তথ্যগুলো নিয়ে এসে নির্দিষ্ট ফর্মে ফিলাপ করে দিতে হবে তাহলেই কাজ শেষ। আর তাই এই কাজটাকে আমি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সব থেকে সহজ কাজ বললাম।

প্রিয় পাঠক বন্ধু আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে শিখে, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার ডট কম, এবং আপওয়ার্কের মতো বড় বড় মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। আর এই কাজগুলো করে মাস শেষে আপনার সর্বনিম্ন ইনকাম, শুরুর দিকে হতেও পারে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা মতো।


উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে যার মাধ্যমে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যাপারই নয়। আজকের মত এতটুকুই আপনাদের জানালাম যেহেতু আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনার যদি ঘরে বসে আয় করার ইচ্ছা থাকে উপরে বর্ণিত যেকোনো একটা কাজের ওপর আপনি দক্ষ হয়ে যান,

তাহলে লক্ষ টাকা প্রত্যেক মাসে আপনি আয় করতে পারবেন তাও আবার ঘরে বসে। একটা কথা বলতে পারি আপনি যদি এসে শেষ পর্যন্ত আমার আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি মাস শেষে একটা ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন, যদি ওপরে বর্ণিত যে কোন একটা কাজে আপনি পারদর্শী হয়ে যান তাহলে।

ঘরে বসে কিভাবে টাকা ইনকাম করব

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করব? আপনি ঘরে বসে চাইলে খুব সহজে আপনার মোবাইলের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আমি নিচে যে উপায়গুলো তুলে ধরেছি, সেগুলো হল মোবাইল দিয়ে ছবি তুলবেন এবং সেই ছবি

আমার উল্লেখ করা ওয়েবসাইটসমূহতে বিক্রি করে একটা ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। চলুন তাহলে কিভাবে সেগুলো কাজ করে একটু বোঝার চেষ্টা করি অথবা সেই ওয়েবসাইট গুলো কি তা জেনে নেই।

Shutterstock.com : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এই ওয়েবসাইট। এখানে আপনার নিজের হাতের তোলা যেকোনো ধরনের ছবি আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন যেটা কিনা শুধুমাত্র একটা মোবাইল ফোন দিয়ে সম্ভব। তবে ছবিগুলো যেন অবশ্যই কোন ধরনের সীমালঙ্ঘন না করে।

Adobestock.com : এডোবি ব্যবহারকারীরা এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ছবি আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিশেষ একটি ওয়েবসাইট এডোবি স্টক ডট কম।

Gettyimages.com : এই ওয়েবসাইটটাতে আপনারা অবশ্যই ছবি আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু, ছবিগুলোর মান একটু হাই কোয়ালিটির হতে হবে। অর্থাৎ আপনার হাতের স্মার্টফোনের ক্যামেরা যদি লো কোয়ালিটির হয় তাহলে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। তবে এখনকার স্মার্টফোনগুলোতে ক্যামেরাগুলো মোটামুটি বেশ ভালো মানের থাকে।

Alamy.com : এখানে ছবি আপলোড করলে আপনারা ৫০ শতাংশ এর মত লাভ করতে পারবেন। কারণ বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাকে যতগুলো ডাউনলোড হবে তার ওপর ডিপেন্ড করে দেয়, কিন্তু এখানে লাভের পরিমাণটা একটু বেশি। তবে ছবিগুলো রেজুলেশন অবশ্যই ভালো করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

Foap.com : এখানে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Dreamstime.com : যেহেতু আপনি এই ওয়েবসাইটের নতুন, সে তো আপনার জন্য ভালো সুযোগ হতে পারে। তবে ফটো বিক্রি করে যেহেতু আপনি আয় করবেন আপনি অনলাইন থেকে ফটো তোলার কিছু টেকনিক অবশ্যই শিখে নিবেন।


500px.com : ফটোগ্রাফার দের জন্য একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম এটা। এখানে আপনি ছবি বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ফটো বিক্রি করার ওয়েবসাইট আছে আমি সেগুলো নিচে তুলে ধরলাম।
  • Cavacontributors.com
  • Etsy.com
  • Eyeem.com
উপরের সবগুলো ওয়েবসাইট থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ফটো বিক্রি করে। তবে অবশ্যই ফটো আপলোড করার সময় দেখে নেবেন আপনাদের ফটোগুলো যেন কোন ধরনের হিংসাত্মক বা মারাত্মক কোন কিছু না থাকে অথবা তাদের ওয়েবসাইটের সত্তা বলেও নীতিমালা অনুযায়ী ছবির প্রাসঙ্গিক বিষয় ঠিক থাকে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বন্ধু মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টে আমি আলোচনা করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে এবং শতভাগ কার্যকারী যে বিষয়গুলো থেকে আয় করা যায় তা আমি তুলে ধরেছি। আপনি যদি উপরোক্ত যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ বা পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে সময় নষ্ট না করে কাজ করতে থাকুন আপনি সফল হবেন দ্রুত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url