শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় কি তা নিয়ে থাকছে আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট । পাঠক বন্ধুরা শীতকালে দেখা যায় আমাদের ত্বক মলিন হয়ে যায়, বা শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুব কালচে দেখায়। যে কারণে আমাদের এটা জানা প্রয়োজন যে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় কি। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতকালে আমাদের ত্বক হয়ে যায়, শুষ্ক, খসখসে এবং কালচে। আর এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমাদের জানতে হবে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। তো এই মসৃণতা কিভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আমি নিচে বিস্তারিত তুলে ধরলাম আশা করছি আপনার অনেক কাজে আসবে।
আরো পড়ুন ঃ চুলকানির জন্য কোন ক্রিম ভালো
খাদ্য তালিকা : শীতকালে আমাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে এবং বৃদ্ধি পায়। খাদ্য তালিকার মধ্যে আপনি যুক্ত করতে পারেন, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন গাজর, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। সবুজ শাকসবজি, কাঁচা বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ। যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে অথবা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সহায়ক।
পর্যাপ্ত পানি পান করা : শীতকালে আমরা পানি কম পান করি, যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। প্রতিদিন অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কার্যকর।
গরম পানির ব্যবহার : গরম পানি দিয়ে অর্থাৎ কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধৌত করলে, মুখের প্রয়োজনীয় তেলগুলো ধুয়ে যায়। এ কারণে আপনারা চেষ্টা করবেন খুবই সামান্য গরম পানি দিয়ে মুখ ধৌত করতে। চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধৌত করার।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার : শীতকালে খুব দ্রুত ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় আর তাই প্রতিদিন ত্বকে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনার কাছে যদি ময়েশ্চারাইজার না থাকে তাহলে আপনি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
গ্লিসারিন ও গোলাপজল : গ্লিসারিন এবং গোলাপজল সমপরিমাণ ভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা, এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে। এটা হলো শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলোর মধ্যে একটি ঘরোয়া এবং কার্যকরী উপায়।
আরো পড়ুন ঃ কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
ঘুমাতে যাবার আগে ত্বকের যত্ন : রাতের বেলা ত্বককে একটি বেশি কেয়ার করা উচিত। কেননা সারাদিন তোকে বিভিন্ন ধরনের ডার্ট এবং ধুলাবালি জমে থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা হারাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আর তাই ঘুমাতে যাবার পূর্বে ভালোভাবে মুখ বা ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম : ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পাওয়ার পিছনে শুধু শীতকালে নয় বরং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়েছে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান অর্থাৎ দৈনিক অন্তত সাত ঘন্টা সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে।
নারকেল তেলের ব্যবহার : রাতে ঘুমাতে যাবার পূর্বে ত্বকে নারিকেল তেল মালিশ করুন এবং সারারাত রেখে দেওয়ার চেষ্টা করুন। নারিকেল তেল গভীরভাবে ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে থাকছে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষেপে আলোচনা, যা আপনাদের অতি প্রয়োজনীয়। তাই নিচে আমি সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকালে ত্বক হয়ে যায় নিষ্প্রাণ এবং শুষ্ক ত্বক তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে যার ফলে তখন অনেক কালচে হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারি আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
দুধ এবং মধু : দুধ এবং মধু অনেকেই বলে থাকে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবহার করতে হয়। আপনি আলাদাভাবেও ব্যবহার করতে পারবেন অথবা সব থেকে ভালো হয় যদি দুধ আর মধু একত্রে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ানাড়ি করে একটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এবং সে পেস্ট মুখে লাগিয়ে অন্তত 20 মিনিট রাখুন।
বিশ মিনিট হয়ে গেলে তা হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, কেননা কাচা দুধ ত্বক পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আর মধু ত্বককে আর্দ্র এবং উজ্জ্বল করতে যথেষ্ট সাহায্য করে তাই এই দুটো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগানোই ভালো।
এলোভেরা জেল : ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এলোভেরা জেল যথেষ্ট সহায়ক এবং কার্যকর। আপনাদের বাসায় যদি এলোভেরার গাছ থাকে, সেক্ষেত্রে এখান থেকে অ্যালোভেরা নিয়ে আপনারা সেগুলো পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মুখে এলোভেরা জেল লাগিয়ে নিন এবং সকালে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে তোলে।
বাষ্প থেরাপি : হালকা গরম পানির বাষ্প মুখে নিলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে সেখানে গরম পানির বাষ্প গুলো মুখে যেন লাগে সেভাবে পাত্রের সামনে মুখ দিয়ে কিছুক্ষণ রাখার চেষ্টা করুন।
বাদাম ও তেল যুক্ত মাছ : শীতকালে চেষ্টা করুন প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার এবং তেলযুক্ত মাছ খাওয়ার। কেননা বাদাম এবং তেল যুক্ত মাছ খেলে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। বাদাম এবং তেল যুক্ত মাছ ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
দই ও মধুর প্যাক : দুই টেবিল চামচ দই এর সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। এবং ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দই এবং মধু আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
ডিমের সাদা অংশ : একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর এটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক করবে টানটান এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে নিচে থাকছে আরো বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া টিপস। যা আপনার প্রতিদিনের কাজে আসবে। সেগুলো কি আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত
বন্ধুরা শীতকাল মানে ত্বকের এক্সট্রা যত্ন। কেননা শীতকাল খুবই শুষ্ক একটি মৌসুম কাল যা আমাদের ত্বক সহ আমাদের পুরো শরীরকে খসখসে করে দেয়। এখন আমরা পুরো শরীরের যত্নের থেকে আমাদের মুখের ত্বকের যত্ন বেশি নেই আর তাই আমাদের জানতে হবে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত আসুন জেনে নেই।
মধু : মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজার করে তোলে আপনার ত্বককে। আপনি এটি সরাসরি আপনার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০মিনিট অথবা সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট রাখতে পারেন এরপরে ধুয়ে ফেলুন আপনার তক হবে মসৃণ এবং টানটান।
আরো পড়ুন ঃ অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
কাঁচা দুধ : কাঁচা দুধ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলো দিয়ে কাঁচা দুধ মুখে আলতো করে ঘষতে পারেন এভাবে 10 থেকে 15 মিনিট ঘষা হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আরবি বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে আপনি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন সেগুলো আমি উল্লেখ করে দিলাম।
- মধু ও কফি
- মধু ও পেঁপে
- মধু চিনি
- মধু লেবুর রস
- মধু ও কলা
- মধু ও হলুদ
উপরোক্ত উপাদান গুলো একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনি প্রতিদিন যদি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে যাবে। এবং ত্বকের মসৃণতা সব সময় ধরে রাখবে এই উপাদান।
শীতের ফেসপ্যাক বানানোর উপায়
আপনার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে আপনি শীতের ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। শীতের এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। যাকে আমরা বলে থাকি শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
মধু ও দই ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন,
১টেবিল চামচ দই
১টেবিল চামচ মধু
পদ্ধতি: দই এবং মধু ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক নরম ও মসৃণ করে।
গ্লিসারিন ও গোলাপজল ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগান, এটি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি।
- ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন
- ১ টেবিল চামচ গোলাপজল
- ১/২ চামচ মধু (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতি: উপকরণগুলো মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে আর্দ্র করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
আরো পড়ুন ঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার বিবরণ
কলা ও মধুর ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি বাড়িতেই আপনার ত্বকের জলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
- ১টি পাকা কলা
- ১ টেবিল চামচ মধু
পদ্ধতি: কলা ভালোভাবে চটকে মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে নরম ও ময়েশ্চারাইজ করে।
ওটস ও দুধ ফেসপ্যাক
উপকরণ:
- ২ টেবিল চামচ ওটস
- পরিমাণমতো কাঁচা দুধ
পদ্ধতি: ওটস দুধে ভিজিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে স্ক্রাব করুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।
আরো পড়ুন ঃ টাইমেক্স ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলের ফেসপ্যাক
উপকরণ:
- ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল
পদ্ধতি: অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ রাখে।
শসা ও দই ফেসপ্যাক
উপকরণ:
- ১/২ কাপ শসা কুঁচি
- ২ টেবিল চামচ দই
পদ্ধতি: শসা ব্লেন্ড করে দইয়ের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।এটি ত্বকের শীতলতা বজায় রাখে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
বেসন ও দুধের ফেসপ্যাক
- ২ টেবিল চামচ বেসন
- পরিমাণমতো কাঁচা দুধ
- ১ চিমটি হলুদ
পদ্ধতি: উপকরণগুলো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
পরামর্শ:
- সপ্তাহে ২-৩ বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
- প্যাক লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- ঠান্ডা পানির বদলে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
- এই ফেসপ্যাকগুলো শীতে ত্বককে আর্দ্র, মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।
শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই ত্বককে আর্দ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায়।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: প্রতিদিন একটি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শীতকালে পুরু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
গ্লিসারিন ও গোলাপজল: সমান পরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
নাইট ক্রিম: রাতে ঘুমানোর আগে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং শীতের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।
গরম পানি এড়িয়ে চলুন: শীতকালে গরম পানি ব্যবহার করে মুখ বা শরীর ধোয়া ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে ধ্বংস করে, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন: মুখ ও শরীর ধোয়ার সময় খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করে হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন ঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পানি পান করুন: শীতে আমরা কম পানি পান করি, যা ত্বককে শুষ্ক করতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ মুক্ত থাকলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে সুন্দর ও উজ্জ্বল থাকে। শীতকালে ঘুমের অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে, তাই ঘুমকে গুরুত্ব দিন।
চিনি এবং কফির পেস্ট : চিনি এবং কফির পেস্ট মুখে লাগালে আপনার মুখের ত্বক হবে মসৃণ এবং খুবই উজ্জ্বল। কেননা এই দুটি উপাদানকে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার বলা হয়। যা ত্বকের যত্নে কার্যকরী ভূমিকা রাখে, এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতাও দূর করে দিতে সাহায্য করে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আমি এই সম্পূর্ণ পোস্টে আলোচনা করেছি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে। শতভাগ কার্যকরী এবং বিভিন্ন ডক্টরের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আমি আজকের এই আর্টিকেলটি উপস্থাপনা করেছি। তবে উপরোক্ত নিয়মগুলো যদি আপনি মেনে চলতে পারেন
তাহলে শীতকালে ত্বক থাকবে শুষ্কতা এবং রুক্ষতা থেকে মুক্ত এবং উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। আর তাই শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে চলুন দেখবেন আপনার তক হবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url