*/

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় অথবা ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় এই নিয়ে আজকের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন থাকছে আপনাদের মাঝে। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার বেশ কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে আসুন তবে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
সৌন্দর্য কার না পছন্দ, সৌন্দর্য নির্ভর করে আপনার বাহ্যিক এবং আত্মিক এ ২ এর মিলবন্ধনের মাধ্যমে। তবে বেশিরভাগ মানুষই বাহ্যিক সৌন্দর্য অথবা চেহারার সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য অথবা চেহারার সৌন্দর্যের সব থেকে বড় মাপকাঠি হচ্ছে আপনি ফর্সা না কালো।

এ কারণেই কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আজকের প্রতিবেদন থাকছে আপনাদের মাঝে। যাদের চেহারায় সামান্যতম উজ্জ্বলতা রয়েছে তারা কিভাবে তাদের চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তা জানানো হবে আশা করছি আপনাদের অনেক বেশি কাজে আসবে।

দেখুন নিজের গায়ের রং পরিবর্তন করা যায় না, কিন্তু সঠিক নিয়মে পরিচর্যা এবং যত্ন করলে নিজের চেহারা বা শরীরের চেহারার উজ্জ্বলতা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি করানো যায়। অনেকেই পোস্ট দেখে হয়তো ভাবছেন যে কিছু একটা মেখে ফর্সা হয়ে গেলেই হল। দেখুন অপ্রাকৃতিক ক্রিমের বেশ কিছু সাইড ইফেক্ট রয়েছে।

যা আপনার ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে এ কারণে চেষ্টা করবেন ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করার আমি ক্রিম নিয়েও কথা বলব তবে কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করি। যে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি।

কার্বন অথবা চারকোলের ব্যবহার 

স্বাভাবিক মাত্রায় আপনার গায়ের রং যে রকম সেটা পরিবর্তন করা না গেলেও স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা উজ্জ্বল করা সম্ভব আপনার ত্বক বা আপনার চেহারা। আর গায়ের রং ফর্সা করার অন্যতম একটি উপাদান হলো চারকোল বা কার্বনের ব্যবহার। এই চারকোল বা কার্বন হল কাঠ কয়লা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চারকোল ত্বকের বলিরেখা সরিয়ে ফেলে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তবে যাদের ত্ব খুব সেনসিটিভ অথবা স্পর্শকাতর তারা একটু সতর্কতার সাথে এই চারকোল ব্যবহার করবেন এবং অবশ্যই স্কিন এক্সপার্টের সাহায্য নিবেন।

এই চারকোল অথবা চারকোলযুক্ত ক্রিম ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে একটি খুবই কার্যকরী উপায়। মেয়েদের থেকে ছেলেরা সাধারণত নিজেদের ত্বকের খেয়াল খুব কমই রাখেন এক্ষেত্রে কাঠ কয়লা অথবা চারকোল আপনার অনেক কাজে আসতে পারে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

এবং নারীদের ক্ষেত্রে চারকল যুক্ত ক্রিম এবং যদি আপনার ত্বক সেনসিটিভ অথবা স্পর্শকাতর হয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প পরিমাণ ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন প্রকার ফেসওয়াশ অথবা ক্রিম ব্যবহার করা নারীদের ক্ষেত্রে একদম উচিত নয়।

এতে আপনার স্কিনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই হুমকি স্বরূপ। তবে প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাবার আগে চারকোল মিশ্রিত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে পাশাপাশি ত্বকের পুরনো বলি রেখাও দূর হবে এবং সপ্তাহে একবার চারকোল প্য়াকও ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন ফেস পরিস্কার করা

প্রতিদিন রাতে আপনার ফেস পরিস্কার করুন। বাইরে থেকে এসে কোনভাবেই শুয়ে পড়বেন না, আপনার ত্বকে যেই ফেসওয়াশ সাপোর্ট করে সেই ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন এর পর শুয়ে পড়ুন। এবং স্কিনের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।

দ্রুত কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার বেশ কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা অবলম্বন করলে আপনার স্বাভাবিক গায়ের রং থেকে কিছুটা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি অবশ্যই পাবেন। এবং বিশেষ কিছু ক্রিম রয়েছে ডাক্তারদের দেওয়া সেগুলো নিয়ে আমি নিচে আলোচনা করব।

হলুদ এবং মধু দিয়ে পেস্ট তৈরি : বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল। এর জন্য প্রথমে আপনাকে চার টেবিল চামচ মধু নিতে হবে, সাথে দুই টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ভালোভাবে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

এবার তৈরি কৃত পেস্ট আপনার মুখে লাগিয়ে কমপক্ষে দুই ঘন্টা রাখতে হবে। দুই ঘন্টা হয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন মধু এবং কাঁচা হলুদের প্যাক সপ্তাহে অন্ততপক্ষে পাঁচ দিন ব্যবহার করতে হবে। পাঁচ দিন ব্যবহার করার ফলাফল আপনি নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

যদি আপনার চেহারায় বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না হয় তাহলে আমার এই আর্টিকেলে এসে কমেন্ট করে যাবেন।

গোলাপজল এবং লেবুর রস : আপনার যদি হলুদ এবং লেবু একত্রে এলার্জি থাকে অথবা শুধু হলুদের গন্ধ আপনি সহ্য করতে পারেন না সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় একটা উপায় রয়েছে আসুন সেটা জেনে নেওয়া যাক। এই ফেসপ্যাকটি আপনি যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ খুব দ্রুত মুছে যাবে। এবং আপনি যদি চান দ্রুত ফর্সা হবেন এই উপকরণটি আপনার জন্য।

প্রথমে আপনাকে লেবুর রস নিতে হবে তিন চামচ মানে ছোট চামচের তিন চামচ, ছোট চামচ এর দুই চামচ মধু এবং এক চা চামচ গোলাপজল ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। এরপর আপনার মুখটা বা মুখমন্ডল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্ত থেকে পুরো রাত লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। এবং ঘুমানোর সময় খেয়াল রাখবেন শরীর এপাশ-ওপাশ করার সময় যেন গাল ঘষে না উঠে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠলে সামান্য মৃদু গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন এভাবে টানা 15 থেকে 20 দিন ব্যবহার করে ফলাফল নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। এই ঘরোয়া উপায়টি খুবই কার্যকর এবং দ্রুত ফর্সা হওয়ার বিশেষ একটি উপায়।

এগুলো আপনার কাছে যদি বিরক্তি কর মনে হয় এবং আপনি যদি চান যে ক্রিম ব্যবহার করবেন তাহলে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি কিছু ক্রিম রয়েছে সেগুলো আমি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

ডাক্তারদের পরামর্শে দেওয়া ক্রিম

যারা আপনাদের ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্য এই পরামর্শ গুলো জানা খুবই জরুরী। আপনি যখন কোন স্কিন স্পেশালিস্ট এর কাছে ফর্সা হওয়ার জন্য যাবেন তখন তারা আপনাকে সাধারণত দুইটি পরামর্শ বা দুই ধরনের ক্রিমের কথা বলবে চলুন সেগুলো কি দেখি।

এক নম্বর হচ্ছে ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি অর্গানিক ক্রিম ব্যবহার করতে বলবে, এবং দুই নম্বর হচ্ছে ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করার কথা বলবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন, আজকের এই আর্টিকেল পড়ে কোন ক্রিম ব্যবহার না করে আপনি প্রথমে একজন স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিবেন এর পরে আপনার স্কিন অনুযায়ী যেটা সুইটেবল হবে সেই ক্রিমটা ব্যবহার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

তবে ফর্সা হওয়ার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো সিক্রেট ফেসপ্যাক এ প্যাক ব্যবহার করে আপনি হয়ে উঠতে পারেন কালো থেকে ফর্সা খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তৈরি হওয়ায় আপনার ফর্সার স্থায়ীত্ব কাল হবে দীর্ঘ বা বলতে পারেন সারা জীবন।

তবে এই সিক্রেট ফেসপ্যাকটি আপনাকে অনলাইনে খুঁজে বের করতে হবে। বিশেষ কারণে আমি হচ্ছে এই ফেসপ্যাক এর লিংক টা দিতে পারলাম না তবে আপনারা চাইলে ফেসবুক অথবা গুগল থেকে খুঁজে নিতে পারবেন এই ফেস প্যাকটি।

ত্বক ফর্সা করার মেডিক্য়াল ক্রিম : কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে ক্রিম ব্যবহার অন্য়তম। ত্বক ফর্সা করার কিছু ডাক্তারি ক্রিম রয়েছে আমি সেগুলো তুলে ধরলাম। PLUM E LUMINENCE DEEP MOISTURIZING, (প্লাম ই লুমিনেন্স ডীপ ময়েশ্চারাইজিং), OLAY WHITE RESIDENCE, (ওলে হোয়াইট রেসিডেন্স), WOW FAIRNESS CREAM (ওয়াও ফেয়ারনেস ক্রিম।)

এ সকল ক্রিম ব্য়বহার করার পূর্বে ভালো করে যাচাই বাছাই করে নিবেন। নকল ও থাকে এবং আপনার স্কিনের জন্য় কোনটা ভালো হবে তা একজন ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিবেন।

পেঁপে আর ডিমের মাস্ক 

পেঁপে আর ডিম একসাথে ব্যবহার করলে ত্বকের রং আস্তে আস্তে ফর্সা হবে এবং আরো হালকা হবে। ডিমের প্রোটিন ত্বককে করবে টানটান এবং সুন্দর একটা উজ্জ্বল ভাব নিয়ে আসবে ত্বকের মধ্যে। আর পেঁপে এবং ডিমের সাথে যদি দই যুক্ত করতে পারেন তাহলে আপনার স্কিন ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

উপকরণটি কিভাবে বানাবেন আমি নিচে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

তিন চামচ পেঁপে রস নিবেন, দুই চামচ দই নিবেন, চার চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিবেন, তিন চামচ আমন্ড অয়েল, একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নিন, এবং গ্লিসারিন পরিমাণ মতো। এরপরে কাজ হচ্ছে গ্লিসারিন এবং ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে

এবং একটা ঘন পেস্ট তৈরি করুন সেটাকে ফ্রিজে ঘন্টা দুয়েকের মতো রেখে দিতে হবে। তারপর বের করে তাতে গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশটা খুব ভালো করে মেশাতে হবে। এবার এই তৈরি করা পেস্ট স্ট আপনার মুখে লাগিয়ে অন্তত 30 মিনিট রাখুন এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে কয়দিন ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ত্বক আরো উজ্জ্বল এবং ত্বকে লাবণ্য দেখাবে।

টমেটো আর মধু দিয়ে তৈরি প্যাক 

আপনার মুখে যদি রোদে পোড়া দাগ থাকে অথবা অতিরিক্ত কালো হতে শুরু হয়েছে আপনার চেহারা এমন যদি ভাব লক্ষ্য করেন তাহলে টমেটো আর মধুর প্যাক আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন।

এজন্য কি করবেন একটি টমেটো ও চার চামচ মধু নিন, এরপর একটি পাত্রে আগে টমেটো ভালোভাবে চটকে নিয়ে তার মধ্যে মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন তারপর দেখুন আপনার চেহারা সঙ্গে সঙ্গে তরতাজা দেখাবে।

দুধ ও লেবুর রসের প্যাক 

দুধ ত্বকের জন্য় অনেক উপকারি, এটি ত্বককে পরিস্কার করে নরম থাকতে সাহায্য় করে। তিন চামচ দুধ ১ চামচ মধু ও হলুদ গুড়া এবং ২ চামচ লেবুর রস নিয়ে নিন। একটি পাত্রে পরিমান মতো দুধ নিয়ে এই উপকরন গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে মেখে নিন।

৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাথে সাথে একটা সুন্দর উজ্জলতা দেখতে পাবেন।

যাদের গায়ের রং স্বাভাবিক কালো মানে জন্মগত কালো তাদের ও উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে যদি উপরের নিয়ম গুলো বা প্য়াক গুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় হলো প্রচুর পানি পান করা। এই কথাটা আপনাদের অবশ্য়ই মনে রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য় 

অনেকেই আছেন যারা রোদে পুড়ে কালো হয়েছেন, এবং অনেকেই জন্মগত কালো। আসলে কালো  মানুষ অসুন্দর হয় তা না, আমি শুধু কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি মাত্র। তবে আপনারা যদি উপরের প্য়াক গুলো ব্য়বহার নিয়মিত করতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। এবং ক্রীম গুলো ব্য়বহারের আগে অবশ্য়ই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url